বুধবার, মে ১৪, ২০২৫
spot_img

ঈশ্বরদী জংশনে রেলওয়ে রানিং স্টাফদের বিক্ষোভ ও কর্মবিরতীর হুশিয়ারী

সিয়াম রহমান, ঈশ্বরদী: ‎দেশের বৃহত্তম রেলওয়ে জংশন ঈশ্বরদী স্টেশনে মাইলেজ যোগ করে পেনশন ও আনুতোষিক প্রদানের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে রেলওয়ে রানিং স্টাফ কর্মচারিরা। সোমবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে এই কর্মসূচি পালন করেন তারা।

‎গত ১৩ জানুয়ারি একই দাবিতে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের আমতলায় বিক্ষোভ মিছিল শেষে ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার (ডিআরএম) চত্বরে সমাবেশ করেন রানিং স্টাফরা। সেখানে রেল মন্ত্রণালয় বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়, যা গ্রহণ করেন বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) গৌতম কুমার কুণ্ডু।

‎ঈশ্বরদী স্টেশনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে রানিং স্টাফরা আগামী ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়ে জানান, দাবি পূরণ না হলে ২৮ জানুয়ারি সকাল থেকে কর্মবিরতি শুরু হবে। এতে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের আওতায় সব ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে বলে হুঁশিয়ারি দেন। এ সময় ট্রেনের চাকা না ঘোরার স্লোগান দিয়ে তারা আন্দোলন চালিয়ে যান।

‎সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন রেলওয়ে রানিং স্টাফ শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, গার্ডস কাউন্সিলের সম্পাদক আফজাল হোসেন, পাকশী বিভাগের আহ্বায়ক রবিউল ইসলাম, শ্রমিক নেতা মাসুদ রানা নয়ন, ছবি মণ্ডল, এবং টিটিই‘জ অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক আকরামুল হক। তারা অর্থ মন্ত্রণালয়ের ০৩/১১/২০২১ এর অসম্মতি প্রত্যাহার, নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত স্টাফদের নিয়োগপত্রের বৈষম্যমূলক শর্ত বাতিল এবং রেলওয়ে কোড অনুযায়ী আদেশ জারির দাবি জানান।

‎পাকশী বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) গৌতম কুমার কুণ্ডু জানান, দাবিগুলো মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সমাধানের চেষ্টা করবেন বলে আশ্বাস দেন।

‎পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের আওতায় ১০৮টি ট্রেন চলাচল করে, যার মধ্যে আন্তঃনগর ৫৪টি, মেইল ৩৫টি, লোকাল ১৯টি এবং মালবাহী ট্রেন রয়েছে। কর্মবিরতি শুরু হলে এই ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে শিডিউল বিপর্যয়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

/এমএ

- Advertisement -spot_img

রাজনীতি

আবেদন করতে ব্যানারে ক্লিক করুন...spot_img

সর্বশেষ সব খবর