ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: রুহিয়ায় পৈত্রিক মালিকানা সম্পত্তি জবর-দখল করে গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদ করতে গেলে মারপিট-হুমকির স্বিকার হচ্ছেন ভুক্তভোগী পরিবার।
ইতি পূর্বে সেই জমি থাকা টিনের বেড়া দেওয়া একটি বাথরুম ভাংচুর করছিলো প্রতিপক্ষরা। আর যার জন্য থানায় লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী খাদেমুল ইসলাম ।
ঘটনাটি ঘটেছে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া থানা ধীন ঢোলারহাট ইউনিয়নের মাধবপুর যৌথ পাড়া এলাকায়।
ভুক্তভোগী খাদেমুল ইসলাম জানান, রাতের আঁধারে যে জমি থেকে গাছ কেটেছে সেই জমি ২৩৮ খতিয়ানের ৯৯৪১ দাগে সোয়া ২ শতাংশ জমি পৈত্রিক সুত্রে জমির মালিক আমি। যা দীর্ঘদিন আমার ভোগদখলে আছে। শুধু তাই নয় সেই জমিতে আমার হাতে লাগানো কাঁঠাল গাছ, কদম গাছ, ঝিংগী গাছ সহ বাঁশঝাড় রয়েছে। কিন্তু তারা গায়ের জোরে আমার পৈত্রিক সমপত্তি জমি জোরপূর্বক জবরদখল করার জন্য ইতিপূর্বে আমার কাঁঠাল গাছের বড় বড় কাঠাল গুলো ছুটিয়ে ফালাইয়া দিছে প্রতিপক্ষ ফয়জুল ইসলাম! শুধু তাই নয় আমার সেই খানে কাচা বাথরুম ছিলো সেই জমি দখল করার জন্য সেই বাথরুম ভাংচুর করে। যার জন্য আমি থানায় মামলা দায়ের করি। আর সেই মামলা এখনো চলমান।
এই সময় তিনি আরো বলেন, আজকে রাতে ঝড় বাতাস হওয়ায় বাসা থেকে বের হতে না পারাই সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে রাতের আঁধারে আমার জমিতে থাকা ঝিংগী গাছ কেটে ফেলছে সে সাথে বাশঝাড়ের উচু জমি কেটে পুকুরের ফেলে দিছে।
আর কিছু বললেই ফয়জুল, এনতাজুল, শরিফুল, বাদুল সহ আরো অনেকে গায়ের জোরে আমার উপরে ঝাপিয়ে পড়ে। বিভিন্ন প্রান নাশের হুমকি ধামকি দেয়। আমি অনেক অসহায় হয়ে পরেছি। আমি এ-র বিচার চাই।
তিনি বলেন, গাছ কাটার অভিযোগ স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যর কাছে মৌখিক ভাবে বলছি তারা এই বিষয়ে বসতে চাইছিল আজকে কিন্তু কেউ আসেনি।
এই বিষয়ে অভিযুক্ত ফয়জুল ইসলামের স্ত্রীর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, এই জমির জন্য অনেক মামলা করছেন তারা। আর জমি ওদের হলে না গাছ টাছ থাকবে বলে সংবাদ কর্মীর কাছ থেকে দূরে চলে যান।
এ দিকে গাছ কাটার ও বাঁশঝাড়ের উচু জমি কেটে পুকুরে ফেলার অভিযোগ অস্বিকার করে ফয়জুল ইসলাম বলেন, তাদের ১ শতক জমি সেই খানে নেই। খাদেমুল ইসলামের বাবার মোট জমি ছিল ১৩ শতক কিন্তু তার বাবা ১৫ শতক জমি বিক্রি করে ফেলছে তাদের আর কোন জমি নেই এইখানে। এই সময় তিনি আরো বলেন সেই জমি আমার। তারা মানুষ ভালো না আর জমি আমার ওদের না।
এই বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য অনিমেষ চন্দ্র রায় কে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেনি।
এই বিষয়ে আরেক ইউপি সদস্য হোসেন আলী বলেন, খাদেমুল ও ফয়জুল ইসলামের বহু বছর ধরে জমি নিয়ে ঝামেলা চলতেছে। আমি ২০ বারের অধিক বিচার করছি তবে কোন সমাধান করতে পারিনি জমি টা ফয়জুল ইসলামের বাবার কাছে খাদেমুল ইসলাম ক্রয় করছে। তবে সেই জমির কাগজ পাতি খাদেমুল খুজে পাচ্ছেনা এখন। আর তার সুযোগে ফয়জুল ইসলাম ও শরিফুল ইসলামের পরিবারের জনসংখ্যা বেশি থাকায় তারা সেই জমিটি দখল করতে চাচ্ছে। তবে ক্রয় সুত্রে প্রকৃত মালিক খাদেমুল ইসলাম।
এই বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান অখিল চন্দ্র বর্মনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, গাছ কাটার বা উচু জমি কেটে পুকুরের ফেলে দেওয়ার বিষয়ে কোন লিখিত অভিযোগ কেউ দেয়নি। তবে এর আগে তাদের একটি জমি নিয়ে ঝামেলা ছিলো সেটি বসে সমাধান করছি।
মোস্তাফিজুর রহমান আকাশ/এস আই আর