ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ে রুহিয়ায় খাবারের সাথে চেতনা-নাশক ওষুধ খাইয়ে সংকর চন্দ্রসহ পরিবারের তিন সদস্যকে অজ্ঞান করে এক জোরা সোনার দুল, এক জোরা রুপার নূপুর এবং ত্রিশ হাজার টাকা চুরির ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার রাতে রুহিয়া থানার সেনিহাড়ী (মধ্য হিন্দু পাড়া) নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। শনিবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে অচেতন অবস্থায় সংকর চন্দ্র ও পরিবারের সদস্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রুহিয়া থানা খবর দেন স্থানীয়রা ।
জানা যায়, গতকাল সকালে ভাত খাওয়ার পর থেকেই সংকর চন্দ্রর ঘুম ঘুম আসে তারপরও তিনি নিজেকে অসুস্থ ভেবে গতরাতে খাওয়া না করে গভীর ঘুমেচেতন হয়ে পড়েন।পরের দিন সকালে প্রথমে মেয়ে সুবর্ণা রানী ঘুম থেকে ওঠেন এবং দেখে তার বাবা ও মা অচেতন হয়ে পড়ে আছে। বাবার রুমের আলমারি খোলা। ড্রয়ারে রাখা প্রায় ৬ আনা সোনার এবং ৪ ভরি রুপার গহনা নিয়ে গেছে চোরেরা। বর্তমানে সবাই অনেকটা সুস্থ হয়ে উঠেছে বলে তিনি জানান।
সংকর চন্দ্র বলেন, দুই দিন আগে আমি মিষ্টি কুমার বিক্রির ২ লাখ ৪৫ হাজার টাকা তুলেছি, তবে দুই লাখ ১৫ হাজার টাকা আমি একটা কাজে লাগিয়ে দিয়েছি। বআমার প্যান্টের পকেটে ৩০ হাজার টাকা ছিল সেই টাকা এবং আমার স্ত্রী ও মেয়ের গহনা চুরি হয়েছে।
রুহিয়া থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, সংকর চন্দ্রসহ বাড়ির তিন সদস্যকে অজ্ঞান করে সোনার গহনা এবং নগদ টাকা চুরির ঘটনা ঘটেছে এমন খবর পেয়ে ঘটনা স্থলপুলিশ পরিদর্শন করেছেন। তবে থানায় এখনো অভিযোগ হয়নি।
মোস্তাফিজুর রহমান আকাশ/এস আই আর