সোমবার, মার্চ ২৪, ২০২৫
spot_img

এপ্রিল মাসে ৬৮৩ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৭০৮

যাত্রী কল্যাণ সমিতি জানিয়েছে, বিগত এপ্রিলে মাসে ৬৮৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৭০৮ জন নিহত হয়েছেন। এসব দুর্ঘটনায় ২ হাজার ৪২৬ জন আহত হয়েছে। বুধবার (২২ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

যাত্রী কল্যাণ সমিতির প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, এপ্রিলে রেলপথে ৪৪টি দুর্ঘটনায় ৪৭ জন নিহত, ৩৬ জন আহত হয়েছেন। নৌপথে ৬টি দুর্ঘটনায় ৮ জন নিহত, ১০ জন আহত এবং ১ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
 
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সড়ক, রেল ও নৌ-পথে সর্বমোট ৭৩৩টি দুর্ঘটনায় ৭৬৩ জন নিহত এবং ২ হাজার ৪৭২ জন আহত হয়েছে। এ সময়ে ৩০৫টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২৭৪ জন নিহত, ৩২৮ জন আহত হয়েছে। যা মোট দুর্ঘটনার ৪৪ দশমিক ৬৫ শতাংশ, নিহতের ৩৮ দশমিক ৭০ শতাংশ ও আহতের ২৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ।

সংগঠনটি বলছে, এই মাসে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে ঢাকা বিভাগে। ১৫৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৭৯ জন নিহত ও ৩০৫ জন আহত হয়েছেন। সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে বরিশাল বিভাগে। ৩৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৩ জন নিহত ও ৪৮ জন আহত হয়েছে।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি জানিয়েছে, সড়ক দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের সদস্যরা বহুল প্রচারিত ও বিশ্বাসযোগ্য জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌ পথের দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে থাকে। এর পাশাপাশি জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে (পঙ্গু হাসপাতাল) সড়ক দুঘটনায় আহত ১৩১৬ জনের মধ্যে যাচাই বাচাই করে ১০৯৬ জন আহত রোগীর তথ্য নিয়ে এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে।

যাত্রী কল্যাণ সমিতি জানিয়েছে, সড়কে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে ১০ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ১৬৯ জন চালক, ৬৩ জন পথচারী, ৫৮ জন পরিবহন শ্রমিক, ৪৬ জন শিক্ষার্থী, ৬ জন শিক্ষক, ১১৯ জন নারী, ৬৭ জন শিশু, ৩ জন সাংবাদিক, ২ জন চিকিৎসক, ১ জন আইনজীবী, ৩ জন প্রকৌশলী এবং ৮ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর পরিচয় মিলেছে। তাদের মধ্যে ১ জন পুলিশ সদস্য, ৩ সেনাবাহিনী সদস্য, ১ সাংবাদিক, ২ জন চিকিৎসক, ১২৩ জন বিভিন্ন পরিবহনের চালক, ৫৮ জন পথচারী, ৯৩ জন নারী, ৪৯ জন শিশু, ৩৬ জন শিক্ষার্থী, ৩৩ জন পরিবহন শ্রমিক, ৬ জন শিক্ষক, ৩ জন প্রকৌশলী ও ৮ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী।
 
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, এই সময় সড়ক দুর্ঘটনায় সংগঠিত ৯৮৮টি যানবাহনের পরিচয় মিলেছে। এতে দেখা যায়, ৩৪ দশমিক ৭১ শতাংশ মোটরসাইকেল, ১৭ দশমিক ৬১ শতাংশ ট্রাক-পিকাপ-কাভার্ডভ্যান ও লরি, ১৫ দশমিক ৪৮ শতাংশ বাস, ১৩ দশমিক ১৫ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক, ৫ দশমিক ৯৭ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ নছিমন-করিমন-মাহিন্দ্রা-ট্রাক্টর ও লেগুনা, ৬ দশমিক ২৭ শতাংশ কার-জিপ-মাইক্রোবাস সড়কে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। 

প্রতিবেদন মতে, সংগঠিত মোট দুর্ঘটনার ৪৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ গাড়ি চাপা দেওয়ার ঘটনা, ২৫ দশমিক ৩২  শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ২৩ দশমিক ১৩ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে, ৩ দশমিক ৩৬ শতাংশ বিবিধ কারণে, চাকায় ওড়না পেঁছিয়ে ০ দশমিক ২৯ শতাংশ, এবং ০ দশমিক ৪৩ ট্রেন-যানবাহনের সংঘর্ষে ঘটে। 

- Advertisement -spot_img

রাজনীতি

আবেদন করতে ব্যানারে ক্লিক করুন...spot_img

সর্বশেষ সব খবর