সরকারি চাকরিতে কোটার বিরোধিতা করে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের আবার আন্দোলনে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায় না হলে আন্দোলন আরও জোরদার করা হবে বলে জানান আন্দোলনকারীরা। সম্প্রতি আদালতের রায়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহাল হলে আন্দোলনকারীরা চান ২০১৮ সালের পরিপত্র অনুযায়ী প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে মেধাভিত্তিক নিয়াগ। এ দাবিতে শাহবাগে সড়ক অবরোধ হলে যানজট ছড়িয়ে পরে রাজধানীর অনেক সড়কে।
এ সময় সমাবেশ থেকে শিক্ষার্থীরা চারটি দাবি উত্থাপন করেন। দাবিগুলো হলো- ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখা। ২০১৮ সালের পরিপত্র বহালসাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে (সব গ্রেডে) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দেওয়া এবং সংবিধান অনুযায়ী কেবল অনগ্রসর ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা। সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটাসুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দেওয়া। দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া।
দাবি উত্থাপনের পর শিক্ষার্থীরা পুনরায় মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাকসুদুর রহমানের কাছে যান। এ সময় তারা প্রক্টরের কাছে সারা দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি খোলা রাখা এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে হল, ক্যান্টিন খোলা রাখাসহ সব শিক্ষার্থী সুবিধা নিশ্চিত করার দাবি জানান। পরে শিক্ষার্থীরা আজ দুপুর আড়াইটায় গণপদযাত্রা কর্মসূচির ঘোষণা দেন। এ ছাড়া ৪ জুলাই পর্যন্ত সব বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।