বুধবার, অক্টোবর ১৬, ২০২৪
spot_img

কাল থেকে কোটাবিরোধীদের ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি

সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি পুনর্বহালে হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আজ শনিবার শাহবাগ অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে এক ঘণ্টা পর বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে সেখান থেকে সরে দাঁড়ান তাঁরা। এতে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

শনিবার কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীরা অবরোধ প্রত্যাহারের আগে আগামীকাল রোববার বেলা তিনটা থেকে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন।

এর আগে শনিবার বেলা ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়। পরে মিছিল স্মৃতি চিরন্তন চত্বর, টিএসসি, বকশী বাজার, বুয়েট, ইডেন কলেজ, নিউমার্কেট মোড়, নীলক্ষেত মোড় হয়ে টিএসসিতে গিয়ে শেষ হয়। বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটের দিকে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ ব্যানারে ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা শাহবাগ মোড়ে সড়ক অবরোধ করেন। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তীব্র যানজট তৈরি হয়।

সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৮ সালে সরকারের জারি করা পরিপত্র পুনর্বহালসহ চার দফা দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা বেশ কয়েক দিন ধরে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করছেন।

অবরোধ তুলে নেওয়ার আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, কাল বেলা তিনটা থেকে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি ঘোষণা করা হলো। শুধু শাহবাগ মোড় নয়, শাহবাগ ও ঢাকা শহরের সায়েন্স ল্যাব, চানখাঁরপুল, নীলক্ষেত, মতিঝিলসহ প্রতিটি পয়েন্টে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোর শিক্ষার্থীরা নেমে এসে কর্মসূচি সফল করবেন৷। ঢাকার বাইরের জেলা ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক অবরোধ করবেন৷

নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থী ও আদালতকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়ে সরকার দায়িত্বহীন আচরণ করছে। নির্বাহী বিভাগ তার দায় এড়াতে পারে না। ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, কোটা থাকবে না৷ তাহলে কোটা কেন আবার ফিরে এল? কেন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রহসন করা হচ্ছে? দাবি আদায়ে প্রয়োজনে আমরা হরতালের মতো কর্মসূচি পালন করব। এটা শুধু শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নয়৷ শিক্ষক-অভিভাবকদেরও আন্দোলনে নেমে আসতে হবে।’

উল্লেখ্য, সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি পুনর্বহালে হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে দেশজুড়ে প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন ছাত্র আন্দোলন চলছে।

এর আগে ২০১৮ সালে সরকার ব্যাপক ছাত্র আন্দোলনের মুখে নবম থেকে ত্রয়োদশ গ্রেডের চাকরি থেকে সব ধরনের কোটা বাতিল করেছিল। এর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৩০ শতাংশ কোটাও বাতিল হয়। হাইকোর্ট গত ৫ জুন মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করেন। এরপর থেকে ফের বিভিন্ন ক্যাম্পাসে কোটা বাতিলের দাবিতে ছাত্র আন্দোলন শুরু হয়।

- Advertisement -spot_img

রাজনীতি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

আবেদন করতে ব্যানারে ক্লিক করুন...spot_img

সর্বশেষ সব খবর