হাবিপ্রবি প্রতিনিধি: অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের প্রতিশ্রুত সুপার গ্রেডে অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তনের দাবিতে দেশব্যাপী চলছে সর্বাত্মক কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি চলছে। দুই দিন বিরতির পর একই ভাবে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সর্বাত্মক কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচী পালন করেছেন যার ফলে সকল ক্লাস,পরীক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম স্থগিত হয়ে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে হাবিপ্রবিতে ।
রবিবার (৭ জুলাই) সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত কর্মবিরতি ও দুপুর ১২ টা থেকে ১ টা পর্যন্ত ড. মুহাম্মদ কুদরাত-এ-খুদা একাডেমিক ভবনের নিচে ঘন্টা ব্যাপি অবস্থান কর্মসূচি পালন করে হাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি এবং বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স ফেডারেশন এর ব্যানারে ড. এম ওয়াজেদ ভবনের নিচে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা- কর্মচারীরা কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
উক্ত কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন হাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজার রহমান, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. সাদেকুর রহমান, গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড . ফাহিমা খানম , হাবিপ্রবি প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. বলরাম রায়সহ বিভিন্ন শিক্ষক নেতৃবৃন্দ এবং সাধারণ শিক্ষকবৃন্দ ।
হাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. সাদেকুর রহমান বলেন, বিগত ১৫ বছরে একদিনের জন্যও বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম বন্ধ হয়নি। কিন্তু আজকে একটি জটিল ইস্যু তৈরি হয়েছে যেটি শিক্ষকদের আত্মমর্যাদার ইস্যু। আমরা প্রত্যয় স্কিম প্রত্যাহার চাই না, কিন্তু প্রত্যয় স্কিম থেকে আমাদের প্রত্যাহার করা হোক। সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রত্যয় স্কিম থেকে প্রত্যাহার করে তাদেরকে স্বতন্ত্র বেতন স্কেল কাঠামোতে আনা হোক। আর এই আন্দোলন আমাদের দাবি আদায় হওয়া পর্যন্ত চলবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা মাঠে থাকবো। আমাদের ফেডারেশন যে সিধান্ত নিবে আমরা তাতে অটল থাকবো।
শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচিতে কোন বিভাগে ক্লাস-পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি।বন্ধ ছিল দাপ্তরিক কার্যক্রমও। তবে খোলা ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার। এবং স্বাভাবিক ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস চলাচল।
এমন সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীরা সেশনজটের আশঙ্কা করছেন। তারা মনে করছেন এমন কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি দীর্ঘদিন চললে সেশনজট বৃদ্ধি হতে পারে।তবে শিক্ষক এবং কর্মকর্তাদের আন্দোলনকে যৌক্তিক আখ্যা দিয়ে তারা বলছেন, সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যেনো উদ্ভুত সমস্যা দ্রুত সমাধান হয়।আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা যেনো সেশনজটের কবলে না পড়ি।
উল্লেখ্য, ১লা জুলাই থেকে সারাদেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সর্বাত্মক কর্মবিরতির কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে ।
কামরুল হাসান/এস আই আর