হাবিপ্রবি প্রতিনিধি: অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবিতে সপ্তম দিনের মতো সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করেছেন দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। শিক্ষকদের আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত কর্মবিরতি ও দুপুর ১২ টা থেকে ১ টা পর্যন্ত ড. মুহাম্মদ কুদরাত-এ-খুদা একাডেমিক ভবনের নিচে ঘন্টা ব্যাপি অবস্থান কর্মসূচি পালন করে হাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি এবং বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স ফেডারেশন এর ব্যানারে ড. এম ওয়াজেদ ভবনের নিচে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা- কর্মচারীরা কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
হাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির নেতারা বলেন, তিন দফা দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রত্যয় স্কিম থেকে প্রত্যাহার করে তাদেরকে স্বতন্ত্র বেতন স্কেল কাঠামোতে আনা হোক। আর এই আন্দোলন আমাদের দাবি আদায় হওয়া পর্যন্ত চলবে।
শিক্ষকদের আন্দোলনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে কর্মবিরতি পালন করে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা- কর্মচারীরা। তাঁরা প্রত্যয় স্কিম থেকে নিজেদের প্রত্যাহার এবং ১২ দফা দাবি নিয়ে মাঠে নেমেছে।
শিক্ষকদের কর্মবিরতিতে সকল ক্লাস, পরীক্ষা, গবেষণাগার বন্ধ রয়েছে। পাশাপাশি বন্ধ ছিল সকল দাপ্তরিক কার্যক্রম।এতে বিঘ্নিত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম। তবে খোলা ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার এবং স্বাভাবিক ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস চলাচল।
১ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় সর্বজনীন পেনশন বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। এর আগে চলতি বছরের ১৩ মার্চ সরকারের অর্থ বিভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য প্রত্যয় স্কিমের প্রজ্ঞাপন জারি করে। তখন থেকেই সরকারের ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন । বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ। সর্বশেষ ১ জুলাই থেকে সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকগণ সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করে আসছে।
কামরুল হাসান/এস আই আর
স্বত্ব © ২০২৪ জনতার বার্তা | সম্পাদক: মাসুম আহমেদ