নোবিপ্রবি প্রতিনিধি: সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল রাখার দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ছাত্র ঐক্য সংসদ এর সহযোগিতায় সারাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সমন্বয় রেখে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা। একই সাথে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রত্যয় পেনশন স্কিম বাতিলের প্রতিবাদে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করেন তারা।
বুধবার (১০ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে মিছিল শুরু করে, লাইব্রেরী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, গ্যারেজ, শান্তি নিকেতন, ভাষা শহীদ আব্দুস সালাম হল প্রদক্ষিণ করে শহীদ মিনার এসে শেষ হয়। মিছিল শেষে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা নোবিপ্রবির প্রধান ফটকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীরা কোটার বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন। বৈষম্যের ঠাঁই নাই আমার সোনার বাংলায়, বঙ্গবন্ধুর বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই, জেগেছে রে জেগেছে ছাত্র সমাজ জেগেছে, একাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠো আরেকবার, কোটা না মেধা! মেধা মেধা স্লোগানে উত্তাল হয়ে উঠে ক্যাম্পাস।
বিজিই বিভাগের ১৫ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী বলেন, সংবিধানে প্রতিবন্ধী যারা তাদেরকে রাষ্ট্র শিক্ষা ও চাকরির ক্ষেত্রে সুযোগ সুবিধা দেওয়ার কথা আছে।এখন এর মধ্যে মুক্তিযুদ্ধ কোটা, নারী কোটা ইত্যাদি ইত্যাদি কোটা কেন? তবে এখনআমার দাদা কেন যুদ্ধ করে নাই সেটা কি আমি কবর থেকে তুলে জিজ্ঞেস করবো?
আন্দোলন কারী পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী বলেন, বঙ্গবন্ধু আসলে ঠিকই বলেছিলেন পাকিস্তান হানাদার বাহিনীরা যুদ্ধের পর বাংলাদেশে রেখে গেছে চোরের খনি। বঙ্গবন্ধু আসলে ঠিকই বুঝছিলেন তখন।চাকরির ক্ষেত্রে সব জায়গায় এখন সেই চোর কোটা। আমরা আমাদের অধিকার আদায় করে রাজপথ ছাড়বো।
সমুদ্র বিজ্ঞান বিভাগের ১৭ ব্যাচের এক নারী শিক্ষার্থী বলেন, আমি ব্যাক্তিগতভাবে নারীদের কোটা চাই না। পুরুষদের সাথে পরিশ্রম করে আমাদের যোগ্যতা প্রমাণ করতে চাই। সুবিধা বঞ্চিতদের জন্য কোটা রাখার আহ্বান জানাই। একদিকে নারী কোটা নিবো, আবার আরেকদিকে সমান অধিকারের কথা বলবো তা হবে না।
এ আন্দোলনের সমন্বয়ক নোবিপ্রবি ছাত্র ঐক্য সংসদের সদস্য সচিব বলেন, দীর্ঘ দিন যাবত দেশে কোটা আন্দোলন হচ্ছে। আমরা কোটা নিয়ে কথা বলি, কিন্তু পোষ্য কোটা নিয়ে কথা বলি না। প্রশাসনিক লোকেরা পোষ্য কোটা নিয়ে নিজেরাই অসম্মানিত হচ্ছে। আরেকটি কথা বলতে চাই, তারা বলে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানের জন্য আমাদের কোটা দিতে হবে। আমরা কি মুক্তিযোদ্ধাদের অবমাননা করি? যে করবে সে তো দেশদ্রোহী। আপনারা কোটা দিতে দিতে এমন পর্যায়ে চলে এসেছেন যে এখন আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা বলে তারা ১৬/১৭ টা ভাইভা দিয়েও চাকরি পান নাই, তাই তাদের কোটা থাকলে চাকরি হতো। সে তার অযোগ্যতার প্রমান দিলো এখানে৷ তারা তাদের মেধারও প্রমান দিতে পারলো না।
সাজিদ খান/এস আই আর