ইবি প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ছাত্রলীগের উদ্যোগে কর্মী সভা আয়োজন করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ। সভায় ‘স্মার্ট বাংলাদেশ, স্মার্ট ক্যাম্পাস’ বিনির্মাণে এবং সাংগঠনিক গতিশীলতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার পর প্রথমবারের মতো এ সভা আয়োজন করেন সংগঠনটি।
বুধবার (১০ জুলাই) রাত ৮টায় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত এবং সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের কমন রুমে এই কর্মী সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সভার সঞ্চালনায় ছিলেন শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হুসাইন মজুমদার।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি রতন কুমার রায়, নাইমুল ইসলাম জয়, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান হাফিজ, সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক আবদুল হালিম, শাহিন আলম ও তরিকুল ইসলাম তরুন, প্রচার সম্পাদক হিসেবে আছেন নাবিল আহমেদ ইমন, ক্রীড়া সম্পাদক বিজন কৃষ্ণ রায় সহ প্রায় শতাধিক নেতাকর্মী।
সভায় বিভিন্ন হলের প্রতিনিধিত্বকারী নেতাকর্মীরা সংগঠনের কার্যক্রমে গতিশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা মূলক বক্তব্য প্রদান করেন।নেতাকর্মীরা বলেন, আজকের মূল লক্ষ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মান, তাই প্রথমে আগে একেকটা কর্মীকে স্মার্ট হওয়া উচিত। ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের কর্মীর নামে নেতিবাচক শিরোনাম যাতে না আসে সে বিষয়ে খেয়াল রাখবেন। একজন বড় ভাই হিসেবে মৃত্যুকালীন ঘোষণার ন্যায় বলে যাচ্ছি আপনারা নেতিবাচক কাজ থেকো দূরে থাকবেন, নিজের সময়টুকু কাজে লাগাবেন। সম্প্রতি ক্যাম্পাসে কুচক্রী মহল মাথা সাড়া দিয়ে ওঠতেছে। আমরা যেকোনো মুহূর্তে প্রতিহত করতে প্রস্তুত। শিগগিরই হল শাখা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানায়।
এসময় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় বলেন, ইবি শাখা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি-ই প্রমাণ করে আমাদের ইবি শাখা ছাত্রলীগ কতটা গতিশীল। আজকের আমাদের এই আয়োজন একজন কর্মীকে একজন স্মার্ট সিটিজেন হিসেবে গড়ে তোলা। আর বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে যখন একজন কর্মী নিজেকে স্মার্ট কর্মী হিসেবে প্রমাণ করতে পারবে তখন আমাদের প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে দেশকে গড়ে তুলতে সহজ হবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সৃষ্টির লগ্ন থেকেই শিক্ষার্থীদের সংকটময় মুহূর্তে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এগিয়ে আসে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ শিক্ষার্থীদের কোটা বিরোধী আন্দোলন নিয়েও সংবেদনশীল। অবশ্যই যৌক্তিকভাবেই কোটা সংস্কার হবে বলে আশাবাদী ইবি শাখা ছাত্রলীগ। তবে শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান থাকবে যেনো জন দুর্ভোগের কারণ না হয়।
সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জন্মের পর থেকেই শিক্ষার্থীদের উন্নয়নে এবং শিক্ষার্থীদের পাশে থেকে তাদের প্রতিকূলতা, দুর্ভোগের সময়ে নিঃস্বার্থভাবে এগিয়ে আসে। দক্ষিণ এশিয়ার সবথেকে বড় ছাত্র সংগঠন তাই তাদের কার্যক্রম দিয়ে সর্বদাই প্রশংসিত। আমরা আশাকরি শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি আদায় হবে। তবে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে শিক্ষার্থীদের আবেগকে যেনো পুঁজি করে কোনো মৌলবাদী গোষ্ঠী অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি না করতে পারে।
নেতাকর্মীদের হল কমিটির ব্যাপারে বলেন, আমরা অতিদ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ের সবকয়টি হলের নেতৃবৃন্দকে পরিচয় দেয়ার মতো পরিবেশ তৈরি করে দিবো ইনশাআল্লাহ। খুব দ্রুতই হল কমিটি প্রদান করার মাধ্যমে নেতাকর্মীদের কাজকর্মে গতিশীলতা প্রদান করা হবে।
রবিউল আলম/এস আই আর