নোবিপ্রবি প্রতিনিধি: মধ্যরাতে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) ভারতীয় আগ্রাসন বিরোধী স্লোগানে বিক্ষোভ মিছিল করেছে আবাসিক হলে থাকা সাধারন শিক্ষার্থীরা।
২২ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) রাত ১২ টার পরে নোবিপ্রবির আব্দুল মালেক উকিল হল এবং আব্দুস সালাম হলে চলমান ভারতীয় আগ্রাসন বিরোধী বিক্ষোভ মিছিল হয়। আবদুল মালেক উকিল হল থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়। পরবর্তীতে মিছিলটি আবদুস সালাম হল হয়ে শান্তিনিকেতন, গ্যারেজ ও নীলদিঘী হয়ে শহিদ মিনারে অবস্থান নেয়।
মূলত, টানা কয়েকদিন অতিরিক্ত বৃষ্টির ফলে বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যা দেখা দেয়। এর মাঝেই, ২১ তারিখ ভারত কর্তৃক বিভিন্ন বাধ খুলে দেওয়ায় ফেনী,কুমিল্লা ও নোয়াখালীতে বন্যায় ভয়াবহ অবস্থা দেখা দেয়। যার ফলে উক্ত স্থানে লোকেরা আশ্রয় নিচ্ছে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে,গৃহহীন হয়েছে অসংখ্য মানুষ। এরই প্রতিবাদে নোবিপ্রবিতে শিক্ষার্থীরা তৎক্ষনাৎ বিক্ষোভ মিছিল করে।
উক্ত মিছিলে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দেয়,তার মধ্যে “পানি নিয়ে দাদাগিরি,চলবে না চলবে না”, ” পেতে চাইলে মুক্তি,ছাড়ো ভারত ভক্তি”,”ভারত যখন মানুষ মারে,আবরার তোমায় মনে পরে”,” ভারত যদি মানুষ মারে,সেভেন সিস্টার থাকবে নারে”।
আআন্দোলনকারী এক শিক্ষার্থী বলেন, ” স্বাধীনতার পর থেকে ভারত বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে শোষণ করে আসতেছে। ২০১৯ সালে আবরার ফাহাদকে ভারতীয় আগ্রাসনের ব্যাপারে কথা বলায় তাকে ততকালীন ফ্যাসিবাদী সরকারের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের হাতে নির্মমভাবে হত্যার শিকার হতে হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে ভারতীয় আজ্ঞাবহ আওয়ামী সরকারকে বিপ্লবী ছাত্র সমাজ উৎখাত করেছে। গতকাল কিছু না জানিয়েই,আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে বাংলাদেশে এ বন্যার মাঝেও তারা বাধ ছেড়ে দিয়েছে। যে কারনে বাংলাদেশের দক্ষিন অঞ্চলে মানবেতর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। তাই একারণেই বাংলাদেশের ছাত্র সমাজ বন্ধু রুপী ঘাতক রাষ্ট্র ভারতের এহেন কর্মকাণ্ডের কবর রচনা করবে,ইনশাআল্লাহ “।
সাজিদ খান/এমএ