শুক্রবার, মার্চ ২১, ২০২৫
spot_img

এনআইবি’র ডিজি নিয়োগে জটিলতার প্রতিবাদে যবিপ্রবিতে মানববন্ধন

যবিপ্রবি প্রতিনিধি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শাহেদুর রহমানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজির (এনআইবি) ডিজি হিসেবে তাঁর নিয়োগ দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন করেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি)  জেনেটিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি (জিইবিটি) বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (২৮ অক্টোবর) যবিপ্রবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে প্রধান সড়কে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিইবিটি বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা এ মানববন্ধন করেন। এ সময় তাঁরা এনআইবিতে ডিজি পদে বায়োটেকনোলজিস্ট অধ্যাপক ড. মোঃ শাহেদুর রহমানের দ্রুত যোগদানপত্র গ্রহণ ও  জীবপ্রযুক্তিতে বৈষম্য নিরসনের দাবি জানিয়েছেন।

মানববন্ধনে যবিপ্রবি জিইবিটি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোঃ নাজমুল হাসান বলেন, আমাদের একটাই দাবি ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ বায়োটেকনোলজির ডিজি পদে একজন বায়োটেকনোলজিস্ট  নিয়োগ দেওয়া জরুরি। যেটা ২০২৪ এর আন্দোলনের পরে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সেই কাজটিই করছেন। বাংলাদেশের জৈব প্রযুক্তির বিকাশ এবং আমাদের যে বায়োটেকনোলজিস্ট গ্রাজুয়েট আছে তাদের চাকরির নিশ্চয়তার জন্য চাকরি ক্ষেত্রে তাদের মেধাকে কাজে লাগানোর জন্য, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের জন্য, আমাদের যেন বিশ্বের কোনো দেশের উপর নির্ভরশীল না হতে হয়, আমাদের গ্রাজুয়েটরা যাতে আমেরিকা পাড়ি দিতে না হয়, তারা যেন আমাদের দেশে তাদের চাকরির সুযোগ-সুবিধা পায়,  গবেষণার সুবিধা পায় ও প্রযুক্তির উন্নতিন সাধন করতে পারে, সেজন্যই ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজির মহাপরিচালক হিসেবে বর্তমান সরকার বায়োটেকনোলজির একজন শিক্ষক অধ্যাপক ড. মোঃ শাহেদুর রহমানকে নিয়োগ প্রদান করছেন। সুতরাং বাংলাদেশের যে কয়টি বিশ্ববিদ্যালয় আছে এরমধ্যে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বায়োটেক পরিবার মনে করে যে তিনি এনআইবির ডিজি পদে এ সময়ের সবচেয়ে যোগ্য ব্যক্তিত্ব। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় কোন একটি অদৃশ্য কারণে ও একটি কুচক্রের মহলের প্রভাবে ওনার যোগদানপত্র গ্রহণ করা হয়নি। এটা আজকে প্রায় ১৫ দিন অতিবাহিত হতে যাচ্ছে ও এখন বিষয়টি ধোঁয়াশা সৃষ্টি করছে।  আমরা চাই অতি দ্রুত তাঁর যোগদানপত্র যেন গ্রহণ করা হয় এবং তাকে যেন এনআইবিতে দায়িত্ব পালন করার সুযোগ প্রদান করা হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা আরো বলেন, দেশে প্রায় ২৮ টি বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন জীবপ্রযুক্তি বিষয়ক বিভাগ আছে। সেসব বিভাগ থেকে প্রতি বছর প্রায় এক হাজারেরও অধিক গ্রাজুয়েট বের হচ্ছেন। কিন্তু সত্যিকার অর্থে দক্ষ জীবপ্রযুক্তিবিদ হিসেবে তাদেরকে কাজে লাগানোর পরিকল্পনা এবং উদ্যোগ কোনোটাই নেই।

সেফা খানম/এমএ

- Advertisement -spot_img

রাজনীতি

আবেদন করতে ব্যানারে ক্লিক করুন...spot_img

সর্বশেষ সব খবর