জাবি প্রতিনিধি: উৎসবমুখর পরিবেশে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) স্ট্যাটিসটিকস এন্ড ডাটা সায়েন্স বিভাগের ছাত্রসংসদ নির্বাচন-২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ রবিবার (২৪ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত ও পরিসংখ্যান ভবনের নিচ তলায় বিভাগের কক্ষে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া অনুষ্ঠিত হয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিভাগের একটি কক্ষকে অস্থায়ীভাবে ভোটকেন্দ্র বানানো হয়েছে। বেলা দেড়টায় নির্বাচন শেষ হওয়ার পূর্বে ৪৩০ জন শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৩৬৩ জন ভোট দিয়েছেন৷ বেলা ৩ টায় ভোট গণনা শুরু হবে।
স্ট্যাটিসটিকস এন্ড ডাটা সায়েন্স বিভাগের ছাত্রসংসদ নির্বাচনে কমিশনারের দায়িত্ব পালন করছেন বিভাগের অধ্যাপক মো. মুজিবুর রহমান। তিনি বলেন, আমরা এবার ছাত্রসংসদ নির্বাচনে এটেনডেন্স কাউন্ট করে নির্বাচনের প্রার্থিতা দিয়েছি। এই বিষয়টিকে সকলেই সম্মানের সাথে গ্রহণ করেছে। আমরা তাদেরকে জানিয়েছি, যেহেতু যারা ছাত্রসংসদ নির্বাচন করতে চায়, তাদের বিভাগে উপস্থিতি থাকাটাকে আমরা প্রায়োরিটি দিচ্ছি। সে সুবাদে ৬০ শতাংশ উপস্থিতি না থাকলে আমরা তাদেরকে প্রার্থিতা দেইনি।
তিনি আরও বলেন, সকাল থেকেই উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া চলছে এবং সর্বশেষ সময় দেড়টায় আমরা ভোটগ্রহণ শেষ করেছি। বেলা ৩টা থেকে ভোট গণনা শুরু হবে এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যেই আমরা ফলাফল প্রকাশ করব।
স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী ও ভিপিপ্রার্থী রিজওয়ান খান বলেন, সকাল থেকেই অত্যন্ত উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিভাগের ম্যাক্সিমাম শিক্ষার্থীর ভোট পড়েছে। এছাড়া এবার আমরা আমাদের পরিসংখ্যান সমিতিকে ছাত্রসংসদে রুপান্তরিত করেছি। যেখানে প্রতিটা বিভাগের শিক্ষার্থীর ভোটের মাধ্যমে ভিপি-জিএসকে নির্বাচিত হয়ে আসতে হবে। এছাড়াও আমি প্রত্যাশা করছি বিভাগের ভিপি নির্বাচিত হলে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিভাগের স্বার্থে কাজ করে যাব। শিক্ষার্থীদের যেকোনো যৌক্তিক দাবি আদায়ে আমরা ছাত্রসংসদ সবসময় সোচ্চার থাকব।
ভিপি পদে স্নাতোকোত্তর বিভাগের মোহাম্মদ আল মাহী (মঈত) নির্বাচন করছেন। এদিকে জিএস পদে প্রতিদ্বন্দ্বীর ৬০ শতাংশ উপস্থিতি না থাকার ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন ৪৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. জিদান আহমেদ।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আবদুর রব নির্বাচন পরিদর্শনে আসেন। এছাড়া বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক রোমান রইস ও বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
মোঃ আরিফ হোসেন/এমএ