বুধবার, মে ১৪, ২০২৫
spot_img

ইবিতে সমকামী-স্বৈরাচারী শিক্ষকের স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে ভিসি বাসভবনের সামনে অবস্থান

ইবি প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হাফিজুল ইসলামের স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে বিভাগটির সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ভিসি বাসভবনের সামনে অবস্থান করে শিক্ষার্থীরা । 

সমকামীতা,সৈরাচারী আচরণ, শিক্ষার্থীদের হেনস্থা, ছাত্রলীগের সম্পৃক্ততা সহ আরো ২৭টি  অভিযোগ নিয়ে আন্দোলন করে বিভাগটির সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের মুখে উপাচার্য তদন্ত কমিটি গঠন করে ও তদন্তও হয় ।গতকাল প্রকাশিত একটি প্রজ্ঞাপনে বলা হয় তদন্তের প্রেক্ষিতে গত ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ সিন্ডিকেট সভায় তাকে এক বছরের জন্য বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়। 

উক্ত প্রজ্ঞাপনটি কেন একমাস পর প্রকাশিত হলো, এতো গুলো অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পরেও কেন তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হলো না এসব দাবি নিয়ে আবারো আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি প্রফেসর ড. শেখ এ বি এম জাকির হোসেন, প্রো ভাইস-চ্যান্সেলর শিক্ষার্থীদের সাথে একাত্বতা প্রকাশ করে । শিক্ষার্থীদের দাবি নিয়ে ভাইস চ্যান্সেলরের সাথে কথা বলেন এবং অতি দ্রুত একটি বৈকঠ ডেকেছেন বলে জানান।

বিভাগের ষষ্ঠ ব্যাচের শিক্ষার্থী সাকিব হোসেন বলে -প্রথমত হাফেজ ছিলেন একজন সাইকোপ্যাথ পাশাপাশি সমকামী এবং এগুলোর প্রমাণ সহ তথ্য-উপাত্ত দেওয়ার পরও প্রশাসন এমন ভনিতা মার্কা একটা রেজাল্ট দিল যেটার কোন মানেই হয় না । যেমনটা হচ্ছে যে এক বছরে একটা ভ্রমণের ব্যাবস্থা করে দিলো ।এক বছর পর উনি যদি আবার ব্যাক করে তাহলে আমাদের কি হবে । উনি শিক্ষক থাকা অবস্থায় আমাদের হয়রানি এবং দুর্দশার শেষ ছিল না, উনার বিরুদ্ধে যাওয়ার ফলে আমাদের আবার কি পরিমান হয়রানি এবং দুর্দশা হতে পারে তা চিন্তার বাইরে । আমাদের দিকে  প্রশাসন না তাকিয়ে তারা প্রহসন মার্কার রেজাল্ট দিয়ে আমাদেরকে আরো হয়রানির দিকে ঠেলে দিচ্ছে । যতদিন না আমাদের যৌক্তিক দাবি পূরণ হচ্ছে ততদিন আমরা এ আন্দোলন চালিয়ে যাব ।

অবস্থান কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এয়াকুব আলী শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করেন। তিনি জানান, বাধ্যতামূলক ছুটি মানে তাকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা। সিস্টেমে বিচার করা হবে। প্রয়োজনে আরেকটা সিন্ডিকেট বসে “কেন স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না” মর্মে কারণ দর্শানো নোটিশ দেয়া হবে। এর আগে যৌন হয়রানির অভিযোগে কয়েকজন শিক্ষক স্থায়ী বহিষ্কার করা হলে জুডিশিয়ারি প্রসেসিং এ আবার ফিরে এসে এখন বহাল তবিয়তে। সুতরাং বিচারিক প্রক্রিয়ায় নেয়ার জন্য সিস্টেম অনুসরণ করা হবে।

শিক্ষার্থীরা তারপরেও অবস্থান থেকে না সরে আসলে প্রক্টোরিয়াল বডি আবারো উপাচার্যের সাথে দফায় দফায় বৈঠক করে ও শেষ পর্যায়ে পরবর্তী সিন্ডিকেট সভায় এ বিষয়ে পুনরায় মূল্যায়ন করা হবে বলে আশ্বস্ত করে। শিক্ষার্থীরা প্রক্টোরিয়াল বডির কথা মেনে নিয়ে অবস্থান ত্যাগ করে,সেই সাথে পরবর্তীতে প্রয়োজনে আরো কঠোর কর্মসূচি দেয়ার কথা জানায় ।

মোজাহিদুল ইসলাম/এমএ

- Advertisement -spot_img

রাজনীতি

আবেদন করতে ব্যানারে ক্লিক করুন...spot_img

সর্বশেষ সব খবর