বুধবার, মে ১৪, ২০২৫
spot_img

বাকৃবিতে বিএসভিইআর সম্মেলন: প্রাণিসম্পদ ও জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নে গবেষকদের পরামর্শ

বাকৃবি প্রতিনিধি: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) “প্রাণীর স্বাস্থ্য ও খাদ্য নিরাপত্তার ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব” প্রতিপাদ্য নিয়ে বাংলাদেশ সোসাইটি ফর ভেটেরিনারি অ্যাডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের (বিএসভিইআর) ৩১তম বৈজ্ঞানিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া।

দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনে বাকৃবিসহ দেশের ১৩টি বিশ্ববিদ্যালয় ও ৬টি প্রতিষ্ঠান থেকে দেশি-বিদেশি পাঁচ শতাধিক গবেষক, প্রাণী চিকিৎসক ও শিক্ষার্থী অংশ নেন। এতে ১২টি টেকনিক্যাল সেশনে গবেষণামূলক ৯০টি মৌখিক উপস্থাপনা এবং ১৬২টি পোস্টার প্রদর্শন করা হয়।

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও বিএসভিইআরের কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আলিমুল ইসলামের সভাপতিত্বে সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া। এ ছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. বাহানুর রহমান, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবু সুফিয়ান ও ইন্টার অ্যাগ্রো বিডির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এ কে এম খশরুজ্জামান।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিএসভিইআরের ৩১তম বার্ষিক সম্মেলন বিএসভিইআরের কার্যনির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. সুকুমার সাহা। ৩১তম বার্ষিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলন আয়োজক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. মোশাররফ উদ্দিন ভূঞা এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোছা. মিনারা খাতুনসহ আয়োজক কমিটি ও কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন,পরিবেশের সাথে গবাদিপশুর সংখ্যা, উৎপাদনের গুণগত মান, রোগের প্রাদুর্ভাবের হার পরিবর্তন হচ্ছে। এছাড়া খামারিদের দক্ষতা, মন- মানসিকতা, দক্ষতার অবস্থারও পরিবর্তন হচ্ছে। খামারিরা পশুর লালন পালন ও চিকিৎসায় প্রযুক্তির ব্যবহার করছে। চার দশক আগে খামার ও খামারিদের চিত্রের সাথে বর্তমান অবস্থার অনেক পরিবর্তন হয়েছে। দেশের প্রান্তিক পর্যায়ের খামারিদের মধ্যেও আধুনিকতার ছোয়া লেগেছে। তাই মানসম্মত সেবা খামারিদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে ভেটেরিনারিয়ানদের অগিয়ে আসতে হবে। কোয়ান্টিটি নয় কোয়ালিটিতে আমাদের বেশি জোর দিতে হবে।

তিনি আরো বলেন, দেশের খামার ও খামারিদের পরিবর্তনের বিষয়টি মাথায় রেখেই ভেটেরিনারিয়ানদের কাজ করতে হবে। দুই দশক আগের তুলনায় বর্তমানের ভেটেরিনারি পেশার চিত্রও পাল্টিয়েছে। তাই ভেটেরিনারিয়ানদের সবসময় শিখার আগ্রহ থাকতে হবে। মানসম্মত সেবা প্রদানের জন্য বিজ্ঞানের সর্বশেষ আপডেটের সাথে মিল রেখে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর কোর্স কারিকুলামেও আপডেট আনতে হবে।

ড. মো. আবু সুফিয়ান বলেছেন, বিএসভিইআর গবেষণার উন্নয়ন, নতুন ধারণার প্রচলন এবং লাভজনক উন্নয়নকে সমর্থন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই উদ্যোগটি পশু চিকিৎসক এবং গবেষকদের সক্ষমতা বাড়িয়ে, টেকসই সমাধান প্রদান করে যা প্রাণী ও জনস্বাস্থ্যকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। আমি বিভিন্ন খাত ও প্রতিষ্ঠান থেকে আসা বিশেষজ্ঞদের সক্রিয় অংশগ্রহণ দেখে আনন্দিত। এই বহুমুখী অংশগ্রহণ বিশ্ব স্বাস্থ্য পন্থার প্রতিফলন যা মানব, প্রাণী ও পরিবেশের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত আন্তঃসংযোগ সমাধানে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 

অধ্যাপক ড. মো. বাহানুর রহমান বলেন, শুধু বাকৃবির জন্য নয় দেশের অন্যান্য ভেটেরিনারি শিক্ষার্থীদের জন্যও ব্যবহারিক প্রশিক্ষণের সুযোগ নিশ্চিত করা আবশ্যক। যাতে তারা স্নাতক হওয়ার আগেই বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে। এছাড়া ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষকদেরও ব্যবহারিক ক্লাস নিতে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। বিশেষ করে ছয় মাসের ইন্টার্নশিপ ব্যবহারিক দক্ষতা অর্জনের জন্য পর্যাপ্ত নয়। তাই, শিক্ষার্থীদের মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের কাছে গিয়ে হাতে-কলমে শিখতে হবে।

আসিফ ইকবাল/এমএ

- Advertisement -spot_img

রাজনীতি

আবেদন করতে ব্যানারে ক্লিক করুন...spot_img

সর্বশেষ সব খবর