জাবি প্রতিনিধি: আসন্ন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) স্নাতক ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ১ম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষ্যে খাবার মান নিয়ন্ত্রণ ও নির্ধারিত মূল্যে খাবার বিক্রির তদারকি করে ক্যাম্পাসের দোকানগুলোতে সতর্কতামূলক অভিযান চালায় কনজ্যুমার ইয়ুথ বাংলাদেশ (সিওয়াইবি), জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।
৯ই ফেব্রুয়ারি (শনিবার) রাত সাড়ে নয়টায় বিশ্ববিদ্যালয় বটতলা, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হল ও রফিক-জব্বার হল সংলগ্ন দোকানগুলো সতর্কতামূলক অভিযান চালায় সিওয়াইবি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ.কে.এম. রাশিদুল আলম, সহকারী প্রক্টর ও সিওয়াইবি’র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক ও আবু সাইফ মোহাম্মদ মুনতাকিমুল বারী চৌধুরী, সিওয়াইবি’র জাবি শাখার সভাপতি আরিফ সানা ও সংগঠনের অন্যান্য সদস্যগণ।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ.কে.এম. রাশিদুল আলম বিভিন্ন খাবার হোটেল পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি বলেন, “আসন্ন ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষ্যে খাবার মান ঠিক রাখতে হবে এবং গ্রাহকের কাছ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত মূল্য আদায় করা যাবে না। যদি কোনো দোকানের বিরুদ্ধে নিম্নমান খাবার পরিবেশন ও উচ্চমূল্য গ্রহণের অভিযোগ পাওয়া যায় তাহলে প্রমাণ সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং প্রয়োজনে দোকানের বরাদ্দ বাতিল করে দেওয়া হবে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ও সিওয়াইবির উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক বলেন, “সিওয়াইবির সংশোধিত খাবারের মূল্য তালিকা অনুযায়ী দাম নিতে হবে। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের থেকে অতিরিক্ত মূল্য নিলে ওই দোকানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া মূল্য তালিকার বাইরে যেসব খাবার পরিবেশন করা হবে সেগুলোরও মূল্য তালিকা আলাদা করে টানিয়ে রাখতে হবে। বাসি কিংবা পচা খাবার পরিবেশন করা যাবে না এবং হোটেলে সার্বিক পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে হবে।”
সিওয়াইবি’র সভাপতি আরিফ সানা বলেন, “আজ আমরা কনজ্যুমার ইয়ুথ বাংলাদেশ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (সিওয়াইবি) শাখা পুরো ক্যাম্পাসের দোকানগুলোতে সতর্কতামূলক অভিযান চালিয়েছি। ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত খাবার নিশ্চিতের লক্ষ্যে আমরা দোকানদারকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছি এবং নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত মূল্য গ্রহণ করতে বারণ করেছি। এরপরও যদি কোনো দোকানদার অস্বাস্থ্যকর বাসি-পচা খাবার পরিবেশন করে কিংবা অতিরিক্ত মূল্য গ্রহণ করে তাহলে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”
মোঃ আরিফ হোসেন/এমএ