বিশেষ প্রতিনিধি: রাজধানীর পল্লবীতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবারকে নগদ এক লক্ষ টাকা করে প্রদান ও শহিদ পরিবারের সদস্যদের সাথে মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল বুধবার (২৮) আগষ্ট দি গোল্ডেন সান রেষ্টুরেন্ট এন্ড পার্টি সেন্টারে জামায়াতে ইসলামী কর্তৃক আয়োজিত বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারকে আর্থিক অনুদান প্রদান ও দোয়া অনুষ্ঠনে পল্লবী অঞ্চলের জুন পরিচালক এবং ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য নাসির উদ্দিন পাঠানের সভাপতিত্বে মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ড. মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াতের সেক্রেটারি ড. রেজাউল করিম, পল্লবী মধ্য থানা আমির আবুল কালাম পাঠান, উত্তর থানা আমির এডভোকেট সাইদুল কাদের, রুপনগর থানা আমির আবু হানিফসহ শহীদ পরিবারের সদস্যবৃন্দ।
এসময় পল্লবী দক্ষিণ থানা জামায়াতের আমির আশরাফুল আলমের সঞ্চালনায়
মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথি বক্তব্য দেন মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন ।
দি গোল্ডেন সান রেষ্টুরেন্ট এন্ড পার্টি সেন্টারে শহীদ পরিবারকে আর্থিক সহায়তা এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার বিপ্লবের পর প্রত্যাশার বাংলাদেশ গঠনে ব্যবসায়ী সমাজের ভূমিকা শীর্ষক পৃথক দুটি আলোচনায় প্রধান অতিথি বক্তব্যে ড. মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেন
আমরা এমন বাংলাদেশ গড়তে চাই যেখানে যুবকরা চাকরির জন্য আত্মাহুতি দেবে না। বাংলাদেশকে একটি ইনসাফপূর্ণ ও মানবিক দেশ হিসেবে গড়ে তুলে ব্যবসা-বাণিজ্যের সুন্দর পরিবেশ তৈরি করা হবে।
তিনি আরো বলেন, ‘আমার দেশের কোনো যুবককে আর চাকরির জন্য রাস্তায় রাস্তায় মিছিল করতে হবে না। এ রকম একটা স্বপ্নের বাংলাদেশ আমরা প্রতিষ্ঠা করবো।
শিক্ষার্থীদের সাম্প্রতিক আন্দোলনের কথা উল্লেখ করে সেলিম উদ্দিন বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা একটি যৌক্তিক আন্দোলনের ডাক দিয়েছিল। একপর্যায়ে দেশের আপামর জনতা আমরা সবাই সাড়া দিয়েছি। সকলের সম্মিলিত প্রয়াসে আন্দোলন সফল হয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, ‘একটা শত্রু বাহিনী কোনো দেশে হামলা করলে যেভাবে নির্বিচারে গুলি চালায়, আমাদের ছাত্রদের আন্দোলনকে দমানোর জন্য আওয়ামী লীগ সরকার রাষ্ট্রের বাহিনীকে ব্যবহার করে ঠিক সেভাবে নির্বিচারে গুলি করে মানুষকে খুন করেছে। অসংখ্য মানুষকে পঙ্গু করে দেওয়া হয়েছে।
ছাত্রদের আন্দোলনকে প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘তারাই(ছাত্ররা) আগামীর বাংলাদেশ, তাদেরকে আমাদের এগিয়ে নিতে হবে। একটা স্মার্ট বাংলাদেশ, একটা আধুনিক বাংলাদেশ, একটা নৈতিকতাপূর্ণ বাংলাদেশ, একটা মানবিক বাংলাদেশ আমাদের এই ছাত্রসমাজ কায়েম করবে।
দোয়া ও মতবিনিময় সভায় প্রত্যেক শহীদ পরিবারকে নগদ এক লক্ষ টাকা করে প্রদান করা হয়েছে এবং পরে আরো এক লক্ষ টাকা করে সহয়াতা প্রদানের আশ্বাস দিয়েছন সংগঠনটির নেতারা।
আব্দুল হালিম সরদার/এস আই আর