ঢাকার অদূরে সাভারের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন গকুলনগর এলাকায় স্থানীয় গকুলনগর স্কুল এন্ড কলেজের উদ্যোগে এক উন্মুক্ত মতবিনিময় সভার অনুষ্ঠিত হয়। রবিবার (২০ অক্টোবর) বেলা ১২টার দিকে কলেজের একটি হলরুমে এ উন্মুক্ত মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
সেখানে উপস্থিত ছিলেন কলেজটির শিক্ষক ইয়াদ আলী, ফরহাদ হোসাইন, সাবেক শিক্ষার্থী, অন্যান্য শিক্ষক ও স্থানীয় অভিভাবকবৃন্দ। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মেহেরাব সিফাত এবং নাটক ও নাট্যতত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী সোহাগী সামিয়াসহ অন্যান্যরা।
সভায় উপস্থিত হয়ে অন্যান্যদের পাশাপাশি অভিভাবকবৃন্দ কিছু বিষয়ের অভিযোগ তোলেন। তারা বলেছেন— কলেজ ও স্কুলের ক্লাসে মনোযোগ দিয়ে শিক্ষকরা পড়ান না। ক্লাসে পড়া জিজ্ঞেস করলে টিউশনিতে আসার আহ্বান জানান। অবশ্য এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে শিক্ষকরা জানিয়েছেন— পতিত স্বৈরাচারী সরকারের আমলের শিক্ষাব্যবস্থাই এর জন্য দায়ী এবং তাদেরকে স্মার্ট বেতন দেয়া হয়না বলেই তারা টিউশনির দিকে ঝুঁকছেন।
অন্যদিকে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জাহাঙ্গীরনগরের সমন্বয়ক মেহেরাব সিফাত জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ছাত্রসংসদ নির্বাচনের গুরুত্বের কথা এবং শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষার পরিবেশকে সুন্দর, ন্যায় এবং সুশৃঙ্খল করার অনুরোধ জানান। অন্য সমন্বয়ক সোহাগী সামিয়া তার বক্তব্যে কলেজের সংস্কারসহ স্কুলের মানোন্নয়নের সার্বিক বিষয় এবং শিক্ষার মানের উন্নয়নের কথা তুলে ধরেন।
তবে কলেজটির সাবেক শিক্ষার্থীরা মনে করছেন ভিন্ন কথা। তারা বলছেন— শিক্ষার সুষ্ঠু ধারা অব্যাহত রাখা এবং রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় কিশোর গ্যাং সহ অন্যান্য যেকোনো সন্ত্রাসের নাগপাশ থেকে নিরাপদ কলেজক্যাম্পাস নিশ্চিত করতে জরুরীভিত্তিতে বর্তমান শিক্ষক, পরিচালনা কমিটি ও সাবেক শিক্ষার্থীদের মতের সমন্বয়ে একটি মজবুত অ্যালামনাই পরিষদ গঠনের বিকল্প নেই।