শুক্রবার, মে ১৭, ২০২৪
spot_img

মাদক ব্যবসা করে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ বনে গিয়েছেন দিদার

হাসান আহমেদ প্রান্ত, নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানাধীন মাসদাইর বেকারীর মোড় এলাকাসহ আশপাশের এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী দিদারের মাদক বিক্রি চলছে হরদমে। আর এ সকল মাদক হাতের নাগালে সহজে পাওয়া যায় বলে ফতুল্লার যুবসমাজের পরিধি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। যুব সমাজ ধ্বংসকারী ভয়ঙ্কর এই মাদকের ব্যবসা করে মাদক ব্যবসায়ী দিদার আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়েছে।

এসব নেশাদ্রব্য মাদক ব্যবসায়ী দিদার সুকৌশলে বিক্রি করছে। তবে মাসদাইর বেকারীর মোড় এলাকার মাদক ব্যবসায়ী দিদার মাদক নিয়ে মাদক পুলিশের হাতে একাধিকবার আটক হলেও কিছুদিন পর সে জামিনে মুক্তি পেয়ে আবার অনেকটা নতুন কৌশলে মাদক বিক্রি শুরু করে। মাদক বেচাকেনাসহ সেবনের জন্য ব্যবহার হচ্ছে নিজস্ব বাড়ির ছাদ।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকার সচেতন ব্যক্তিরা জানান, বেশকয়েকবার পুলিশ মাদকসহ দিদারকে আটক করেন। তার নিজস্ব একটি বাহিনী রয়েছে। সকাল ও সন্ধ্যা হলেই দিদারের বিলাস বহুল বাসায় পায়ে হেঁটে ও বাইসাইকেলে এবং বিভিন্ন মডেলের দামী মোটরসাইকেলে করে কিছু যুবকের আনাগোনা দেখা যায়। এদেরকে ভয়ে এলাকার কেউ কিছু বলতে সাহস পায় না। ফলে এদের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এ বিষয়ে একজন মাদকসেবীর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান,যারা এগুলো ব্যবসা করছে তাদেরকে দেখলে কেউ বিশ্বাস করবে না যে তারা মাদকের সাথে জড়িত,যেমন মাদক ব্যবসায়ী দিদার প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করেই তার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।

সমাজের সচেতন অভিভাবকগণ নিজেদের সন্তানদের নিয়ে মারাত্মক দুশ্চিন্তার মধ্যে দিন যাপন করছে। মাসদাইর এলাকার বিপথগামী মুখোশধারী মাদক ব্যবসায়ী দিদার সকল নেশাদ্রব্য নিজেকে ধরা ছোঁয়ার বাহিরে রেখে নিরাপদে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বলে একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে। এ নিয়ে এলাকায় অনেকটা চাপা ক্ষোভ ও আতঙ্ক বিরাজ করছে অপকর্ম করে যতক্ষণ পর্যন্ত কেউ ধরা না খায়,ততক্ষণ পর্যন্ত যে সবাই সাধু পুরুষ।তারপর একদিন যখন সবকিছু ফাঁস হয়,সাধক পরিণত হন মহাপাতকে।তবে সবাই নন,কেউ কেউ। মাদক ব্যবসায়ী দিদার তার জলন্ত উদাহরণ। মাদকের টাকায় মাত্র কয়েক বছরে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলার মাসদাইর এলাকার বাসিন্দা মৃত আলাউদ্দিন মাতব্বরের পুত্র দিদার মাতব্বর। দিদার মাতব্বরের আলাদীনের চেরাগ হাতে পাওয়ার পিছনের রহস্য অনুসন্ধান করতে গিয়ে একে একে বেরিয়ে আসতে থাকে থলের বিড়াল।

মাদক ব্যবসায়ী দিদারের হামলার স্বীকার একজন সাংবাদিক জানান,চরম সাংবাদিক বিদ্বেষী মাদক ব্যবসায়ী দিদার সাংবাদিকদের কথা শুনলেই ক্ষেপে যান। দুই ছেলেকে দিয়ে মারমুখি হত্যা ও অসম্মানজনক মন্তব্য করান এই মাদক ব্যবসায়ী দিদার।সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে অত্যুক্তি প্রকাশ করে বলেন-আপনারা যা খুশি লেখেন,আমার বিরুদ্ধে লিখলে কিছু হবে না।আমি উপর মহল ম্যানেজ করেই চলি। এমনকি প্রশাসন মাদক ব্যবসায়ী দিদারকে গ্রেফতার করতে আসলে পরিবারের সবাইকে ক্ষিপ্ত করে প্রশাসনের কাজে বাধা দেন দিদার। মাদক ব্যবসায়ী দিদারের নামে সাংবাদিকরা কিছু লিখলেই দুই সন্তানকে অই সকল সাংবাদিকদের রাস্তা-ঘাটে দেখলেই হামলা করার জন্য শিখিয়ে রাখেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে মাদক ব্যবসায়ী দিদারের বিরুদ্ধে।

মাসদাইর এলাকার ছাত্র,তরুণ ও যুব সমাজকে নেশার হাত থেকে রক্ষা করতে পর পর অভিযান চালিয়ে মাদক বিক্রেতা দিদারকে গ্রেফতার করে কঠিন সাজা দিতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, র‌্যাব ও ডিবি পুলিশের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ফতুল্লা থানাধীন মাসদাইর এলাকার অভিভাবকবৃন্দ এবং সমাজ সচেতন ব্যক্তিবর্গ।

- Advertisement -spot_img

রাজনীতি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

আবেদন করতে ব্যানারে ক্লিক করুন...spot_img

সর্বশেষ সব খবর