বুধবার, মে ১৪, ২০২৫
spot_img

নওগাঁয় ডাকাতির সময় গৃহবধূকে গণধর্ষণ: গ্রেপ্তার ৭


মোঃ এ কে নোমান, নওগাঁ: নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলায় ডাকাতি ও গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দুটি ধারালো হাসুয়া উদ্ধার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে নওগাঁ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাফিউল সারোয়ার। এর আগে সোমবার রাতে জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন – মান্দা উপজেলার চকজামদই মুচিপাড়া এলাকার আজির মণ্ডলের ছেলে শরিফুল ইসলাম পচা (২৯), লুৎফর রহমানের ছেলে তারেক হোসেন (২৬), বনসেতর এলাকার মনির উদ্দিন শেখের ছেলে সোলাইমান আলী (৩৮), গৌড়রা বৌদ্ধপুর এলাকার মাসুদ রানা সর্দারের ছেলে সাগর হোসেন (১৯), বন্দীপুর এলাকার মাসিদুল রানা সর্দারের ছেলে রুবেল সরদার (২৮), নিয়ামতপুর উপজেলার জিনারপুর এলাকার রিপন আলী (৩০) এবং মহাদেবপুর উপজেলার চককন্দর্পপুর এলাকার জিল্লুর রহমানের ছেলে সাগর হোসেন (১৯)।

পুলিশ সুপার জানান, গত ৯ ডিসেম্বর রাত ১১টার দিকে মহাদেবপুর উপজেলার খাজুর গ্রামের একটি বাড়িতে সংঘবদ্ধ ডাকাত দল ঢোকে। তারা অস্ত্রের মুখে পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার এবং একটি মোবাইল ফোন লুট করে। এরপর বাড়ির এক গৃহবধূকে অপহরণ করে একটি ফাঁকা মাঠে নিয়ে গিয়ে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে।

থানা পুলিশ খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে। পরদিন মহাদেবপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৩৯৫ ও ৩৯৭ ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাফিউল সারোয়ার বলেন, “শুরুর দিকে এটি পুলিশের কাছে একটি ক্লুলেস ঘটনা ছিল। তবে দ্রুত তদন্তের জন্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়ব্রত পালের নেতৃত্বে একটি বিশেষ টিম গঠন করা হয়। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় প্রথমে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের দেওয়া স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে ডাকাতি ও ধর্ষণের কাজে ব্যবহৃত দুটি ধারালো হাসুয়া উদ্ধার করা হয়।”

পরবর্তী সময়ে তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সর্বশেষ সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে শরিফুল ইসলাম ও ফারুক হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে তিনজন ইতোমধ্যেই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

মহাদেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসমত আলী জানান, ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বাস্থ্য পরীক্ষার চূড়ান্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেছে, যেখানে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। গ্রেপ্তার দুই আসামিকে মঙ্গলবার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান, ফারজানা হোসেন এবং জয়ব্রত পালসহ মহাদেবপুর থানার ওসি হাসমত আলী সহ আরও অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। পুলিশ এ ঘটনার বিষয়ে আরও তথ্য উদঘাটনে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

/এমএ

- Advertisement -spot_img

রাজনীতি

আবেদন করতে ব্যানারে ক্লিক করুন...spot_img

সর্বশেষ সব খবর