মঙ্গলবার, এপ্রিল ৩০, ২০২৪
spot_img

ইসরায়েলে পণ্য রফতানি করবে না তুরস্ক

ফিলিস্তিনের গাজায় গত ছয় মাস ধরে নির্বিচারে হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে ইসরায়েল। এ নিয়ে বরাবরই সরব রয়েছে তুরস্ক। গাজায় সাহায্য পাঠানোর ক্ষেত্রেরও দেশটি অগ্রণী ভূমিকা রাখছে। এবার ইসরায়েলে পণ্য রফতানি বন্ধের ঘোষণা দিল আঙ্কারা।

রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, তুরস্কের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইসরায়েলে পণ্য রফতানি না করার ঘোষণা দিয়েছে।

মঙ্গলবার তুরস্কের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, গাজায় যুদ্ধবিরতির না হওয়া পর্যন্ত ইসরায়েলে পণ্য রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞার আওতায় বিভিন্ন শ্রেণির ৫৪টি পণ্য রয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শিগগিরই এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে। তবে কবে থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে, তা জানায়নি তুরস্ক।

এর আগে ফিলিস্তিনের গাজায় উড়োজাহাজ থেকে ত্রাণ ফেলতে ইসরায়েলের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছিল তুরস্ক। কিন্তু ইসরায়েলে সেই অনুরোধে সাড়া দেয়নি। তখন ক্ষুব্ধ তুরস্ক জানিয়েছিল, তারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে শিগগিরই পদক্ষেপ নেবে। ধারণা করা হচ্ছে, তুরস্কের অনুরোধ প্রত্যাখ্যানের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ হিসেবে ইসরায়েলে পণ্য রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা দিল তুরস্ক সরকার।

তুরস্কের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা পণ্যের মধ্যে লোহা ও স্টিলের পণ্য রয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রাংশও রয়েছে।

গত বছরের অক্টোবরে গাজায় নৃশংস হামলা শুরু করে ইসরায়েল। তখন থেকেই ইসরায়েলের প্রতি নিন্দা জানিয়ে আসছে তুরস্ক। তবে ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক ছিন্ন করেনি। ইসরায়েল–হামাস যুদ্ধ শুরুর পর এবারই প্রথম বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দিল তুরস্ক।

বিবৃতিতে তুরস্ক বলেছে, যতক্ষণ ইসরায়েল আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করবে, গাজায় যুদ্ধবিরতি না দেবে এবং সেখানে ত্রাণ পাঠানোর নিরবিচ্ছিন্ন প্রবাহের অনুমোদন না দেবে ততক্ষণ পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে।

গাজায় হামলা শুরুর পরই তুরস্ক ও ইসরায়েল তাদের রাষ্ট্রদূতদের প্রত্যাহার করে। মঙ্গলবারের পদক্ষেপটি সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আঙ্কারার নেওয়া প্রথম গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। ইসরায়েলের সাথে তার সরকারের বাণিজ্যিক সম্পর্ক নিয়ে ক্রমবর্ধমান সমালোচনার মুখে পড়েছেন প্রেসিডেন্ট তাইয়্যেপ এরদোয়ান।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ছয় মাসের যুদ্ধে ৩৩ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিতিন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে বেশির ভাগই নারী ও শিশু।

- Advertisement -spot_img

রাজনীতি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

আবেদন করতে ব্যানারে ক্লিক করুন...spot_img

সর্বশেষ সব খবর