সোমবার, মে ২০, ২০২৪
spot_img

ফেব্রুয়ারিতে ভারতে আটককৃত বাংলাদেশিদের সংখ্যা প্রকাশ

বাংলাদেশের সঙ্গে দুইটি দেশের সীমান্ত রয়েছে। মিয়ানমার ও ভারত। তবে সবচেয়ে বেশি সীমানা রয়েছে ভারতের সঙ্গে। বাংলাদেশের ৩২টি জেলার সঙ্গে প্রতিবেশি এই দেশটির সীমানা রয়েছে। প্রতিবেশি এই দেশটিতে অনুপ্রবেশের সময় ফেব্রুয়ারি মাসে ভারত-বাংলাদেশের দক্ষিণবঙ্গের সীমান্ত এলাকায় গ্রেপ্তার হয়েছেন অন্তত ৪৯ বাংলাদেশি নাগরিক। তাদের মধ্যে অন্তত ১৭ জন নারী এবং শিশু। 

গ্রেপ্তার বাংলাদেশিদের ১৪ জনকে ইতোমধ্যে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষা বাহিনীর (বিজিবি) হাতে তুলে দিয়েছে ভারতীয় বাহিনী (বিএসএফ)। বাকি ৩৫ জনের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে হয়েছে মামলা। বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের বরাতে প্রকাশিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানা গেছে চলতি মাসে সীমান্তে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ২০ কিলোগ্রাম স্বর্ণ।

বিএসএফ সূত্রে জানানো হয়েছে মঙ্গলবার রাতে আলাদা সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে মোট ১১ বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করে বিএসএফ। তারালি, বিথারী ও হাকিমপুর বিওপি এলাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশের সময় ১১ বাংলাদেশিকে আটক করে বিএসএফের ১০০ নম্বর ব্যাটেলিয়ান। বুধবার তাদের পুলিশের হাতে তুলে দিলে এদিনই তাদের বসিরহাট আদালতে পেশ করে স্বরূপনগর থানার পুলিশ।

এর আগে ২৭ ফেব্রুয়ারি প্রায় এক কেজি স্বর্ণসহ পেট্রাপোল সীমান্তে গ্রেপ্তার করা হয় দু’জনকে। ১৭ এবং ১৯ ফেব্রুয়ারি দুই দফায় উদ্ধার করা হয় প্রায় ১৪ কেজি স্বর্ণ। আটক করা হয় তিনজনকে।

এছাড়াও গত ১০ ফেব্রুয়ারি গাইঘাটা সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশের সময় দুই বাংলাদেশি মোহাম্মদ তারেখ ও শাহিনুর আক্তারকে আটক করে বিএসএফ। ৯ই ফেব্রুয়ারি একই অভিযোগে বাগদা সীমান্তে দুই ভারতীয় দালালসহ আটক করা হয় ৬ বাংলাদেশি নাগরিককে। ৩ তারিখে অনুপ্রবেশের সময় বাগদার হেলেঞ্চা সীমান্ত থেকেই আটক করা হয় ১১ বাংলাদেশি নাগরিককে। তার ঠিক একদিন আগে চলতি মাসের ২ তারিখে বাগদা সীমান্ত থেকেই  গ্রেপ্তার করা হয় ২ বাংলাদেশিকে। এছাড়াও ফেনসিডিল, মাছের ডিম/পোনাসহ বিভিন্ন অবৈধ সামগ্রী প্রচারের সময় গ্রেপ্তার করা হয় বাকি বাংলাদেশিদের।

বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের জনসংযোগ কর্মকর্তা এ.কে. আর্য এবং ডিআইজি আনন্দ জানিয়েছেন, বিভিন্ন লোভ দেখিয়ে দালালরা সীমান্তে অনুপ্রবেশ এর মত ঘটনা ঘটাচ্ছে। কুখ্যাত চোরাকারবারিরা গরিব ও নিরীহ মানুষকে সামান্য অর্থের প্রলোভন দিয়ে ফাঁদে ফেলে। কুখ্যাত পাচারকারী চক্র সরাসরি চোরাচালানের মতো অপরাধে জড়িত নয়, তাই তারা দরিদ্র মানুষকে টার্গেট করে।

তিনি সীমান্তে বসবাসকারী লোকদের কাছে আবেদন করেছেন যে তারা যদি স্বর্ণ চোরাচালান সংক্রান্ত কোনও তথ্য পান তবে তারা বিএসএফের সীমা সাথী হেল্পলাইন নম্বর ১৪৪১৯-এ এই তথ্য দিতে পারেন। এছাড়া দক্ষিণবঙ্গ সীমান্ত আরেকটি হেল্পলাইন নম্বর ৯৯০৩৪৭২২২৭ জারি করেছে। WhatsApp স্বর্ণ চোরাচালান সম্পর্কিত বার্তা বা ভয়েস বার্তাও পাঠানো যেতে পারে। সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রদানকারী ব্যক্তিকে পুরষ্কার হিসেবে উপযুক্ত পরিমাণ দেয়া হবে এবং তার পরিচয় গোপন রাখা হবে।

- Advertisement -spot_img

রাজনীতি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

আবেদন করতে ব্যানারে ক্লিক করুন...spot_img

সর্বশেষ সব খবর