ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে গোপন প্রতিবেদন পাঠিয়েছিল, যেখানে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, “সাঈদীকে যদি ‘দুনিয়া’ থেকে সরিয়ে না দেওয়া হয়, তাহলে শেখ হাসিনার সরকার যেকোনো সময় পতনের ঝুঁকিতে পড়বে। কারণ, বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ তাকে ভালোবাসে এবং দলমত নির্বিশেষে তার রয়েছে ব্যাপক জনসমর্থন।”
এরপর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া ফাঁসির রায় পর্যবেক্ষণ করে কমিয়ে তাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় তার বয়স ছিল ৩০ বছর। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাকে মানবতাবিরোধী অপরাধ ও স্বাধীনতা বিরোধিতার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে।
২০১০ সালের ২১ মার্চ বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীর দায়ের করা মামলায় ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগ আনা হয়। পরে ২৯ জুন রাজধানীর শাহীনবাগের বাসা থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
২০২৩ সালের ১৪ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি ৮৩ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।
সূত্র: ফেস দ্যা পিপল