নওগাঁ প্রতিনিধি: শনিবার (২৯ জুন ২০২৪) বেলা ১১টায় নওগাঁ মুক্তির মোড়ে ফিলিস্তিনে গণহত্যায় সমর্থনকারী ইসরাইলি পণ্য বয়কটের দাবিতে মানববন্ধন করেছে নওগাঁ ইয়ুথ ক্লাব।
নওগাঁ সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী মো. তারিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে আয়োজিত এই মানববন্ধনে ইসরাইলি পণ্য বয়কট করে বিকল্প দেশীয় পণ্য ব্যবহারের দাবী জানানো হয়।
মানববন্ধনে নওগাঁ সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী নাকিব আল হাসান বলেন, “গত বছর ৭ অক্টোবর থেকে আপনারা ফিলিস্তিনে দেখছেন ছোট্ট শিশুর চূর্ণ-বিচূর্ণ মাথার খুলি হাতে নিয়ে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করা মাকে। আপনারা শুনেছেন গর্ভবতী মায়ের পেটের উপর দিয়ে চালিয়ে দেওয়া ট্যাংকের গর্জন। ইসরায়েলি অপারেশন শুরু হওয়ার পর থেকে গাজায় ৩৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যার মধ্যে জাতিসংঘের অনুমান অন্তত ৫৬% নারী ও শিশু। এরকম নির্মম ধ্বংসযজ্ঞ চালানো ইসরাইলকে সর্বাত্মক বয়কট করা এখন সময়ের দাবী।”
নওগাঁ ইয়ুথ ক্লাবের সদস্য মো. নাহিদ হাসান বলেন, “ইসরাইলে অবৈধ দখলদার জায়নিস্টদের বসতি গড়ার পেছনে ব্রিটেনের হাত ছিল। আর এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ মদদে ফিলিস্তিনে গণহত্যা চালানো হচ্ছে। ইসরাইল তার প্রতিষ্ঠাকাল থেকে প্যালেস্টিনিয়ানদের উপর যা করে আসছে তা কখনোই ডিফেন্সের মধ্যে পড়েনা। বরং তা নির্মম গণহত্যা। আমরা আমাদের সীমিত সামর্থ্য থেকে সকল ইসরাইলি পণ্য বয়কট করে দেশীয় পণ্য ব্যবহারের আহবান জানাচ্ছি।”
নওগাঁ ইয়ুথ ক্লাবের আরেক সদস্য মো. রবিউল সরদার বলেন, “১৯৬৬ সাল থেকে কোকাকোলা ইসরায়েলের কট্টর সমর্থক। কোকাকোলা তাদের বিশ্ব সদর দফতরে গণহত্যা চালানো ইসরাইলি যুদ্ধপরাধী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল বিন ইয়ামিন বেন এলিজারকে সম্মাননা প্রদান করে। ২০০৯ সালে জাতিসংঘ আহ্বান করে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির জন্য। আর এই আহ্বান প্রত্যাখ্যান করার জন্য এবং গাজায় ইসরায়েলের সামরিক হামলার ধারাবাহিকতাকে সমর্থন করার জন্য কোকাকোলা সরাসরি অবদান রাখে। এত কিছুর পরও আমরা কি এখনও আমাদের ভাইদের রক্ত দিয়ে আমাদের তৃষ্ণা মেটাবো?”
মো: এ কে নোমান/এমএ