ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় ওসমান আলী ওহাব নামে এক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্যে ঐ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে সরকারি রাস্তার ৫টি গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে সদর উপজেলার ২১ নং ঢোলারহাট ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য ওসমান আলী ওহাব ৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান এবং একটি রাস্তার গাছ পরিচর্যাকারী বাতাসী বেগম ও বড়দেশ্বরী এলাকার রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ।
জানা গেছে, ঢোলারহাট বাজার থেকে বড়দেশ্বরী পাঁকা রাস্তার সরকারি ৩ টি এবং তার দুই দিন আগে ছুট খড়ি বাড়ি এলাকায় ব্যাংকার পাড়ায় ২ টি বাবলা গাছ দুইটি রাস্তার গাছ কর্তন করেন এই গাছখেকো।
তবে কোনো ধরনের অনুমতি ছাড়াই গাছগুলো খড়ি বাড়ি এলাকার রমেশ চন্দ্র নামের একজনের কাছে সম্প্রতি বিক্রি করেছেন তারা।
স্থানীয়রা জানান দুই দিন আগে ইউপি সদস্য ওহাব এবং মিজানুর রহমান ছুট খড়ি বাড়ি এলাকায় একটি রাস্তার দুটি বাবলা গাছ এবং টাঙ্গন নদীর পশ্চিমে পাকা রাস্তার ১ টি সরকারি কাঁঠাল গাছ কর্তন করে নিয়ে যায়। সাহস দেখিয়ে আজকেও দিনে দুপুরে বড়দেশ্বরী হাট রাস্তা টাঙ্গন নদীর পূর্বে আরও দুটি কাঁঠাল গাছ কর্তন করে স্থানীয় রমেশ চন্দ্রর কাছে বিক্রি করে দেন। তারা আরও বলেন আমরা তাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন সে মেম্বার এজন্যই নাকি তার সরকারি গাছ কর্তন করে বিক্রি করার ক্ষমতা রাখে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি সদস্য ওসমান আলী ওহাব প্রথম দিকে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে কোন কথা বলতে না চাইলেও পরে তিনি গাছ কাটার বিষয় কোন কিছু জানেন বলে এরিয়ে যান।
এই বিষয়ে স্থানীয় ওয়ার্ডের আওয়ামীলীগ নেতার সাথে মুঠোফোন একাধিক বার যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
রাস্তার গাছ পরিচর্যাকারী বাতাসী বেগম বলেন, আমি শুধু দুটি গাছ কেটেছি তবে এই গাছ কাটার অনুমতি ওয়াব মেম্বার ও চেয়ারম্যানের কাছে নিয়ে কাটছি। এই সময় তিনি আরো বলেন দুটি গাছের টাকা শুধু আমি নেয়নি টাকা ভাগ রফিকুল সহ বেশ কয়েক জন পেয়েছে।
২১ নং ঢোলারহাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অখিল চন্দ্র রায়ের কাছে এ বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, সামান্য বিষয় নিয়ে আমি কিছু বলতে চাই না। একজন গরিব মানুষ সে।
কিন্তু তিনি পরবর্তীতে ক্যামেরা সামনে বলতে চাইলে তিনি বলেন, এই বিষয়ে আমি কিছু জানি না। তবে বাতাসী নামে এক মহিলা কিছুক্ষণ আগে আমার কাছে আসছিলো আসে বলছে যে গাছ নাকি সে নিজের হাতে লাগিয়েছে তাই সে কাট চাই। কিন্তু আমি বলছি গাছ কাটার অনেক নিয়ম আছে। সরকারি গাছ কাটলে বন বিভাগ কে জানাইতে হবে বা গাছ কাটার জন্য আবেদন করতে হবে এই টুকু জানি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বেলায়েত হোসেন জানান, রাস্তার সরকারি গাছ কর্তন করা নিঃসন্দেহে অপরাধ আমি সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানকে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এখনই জানাচ্ছি।
মোস্তাফিজুর রহমান আকাশ/এমএ