ববি প্রতিনিধি: বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের পর থেকে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের চলছে ভিসি ও প্রক্টরের পদত্যাগের দাবি। একই সুরে ববিতে শিক্ষার্থীরা প্রক্টর এবং ভিসির পদত্যাগের দাবি জানায়।
আজ ১৭ আগষ্ট (শনিবার) সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে একটি আলোচনা সভার মাধ্যমে ক্ষমা চেয়ে শিক্ষার্থীদের দেওয়া শর্ত মেনে নিয়ে স্বপদে বহাল থাকছেন বলে জানা যায়।
দীর্ঘদিন ধরেই ববির সাধারণ শিক্ষার্থীরা বর্তমান ভিসি এবং প্রক্টরের পদত্যাগ চেয়ে নানান পোষ্ট করতে থাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের “লিংকার্স” নামক গ্রুপে। তবে পদত্যাগের ব্যাপারে কিছু কিছু শিক্ষার্থী দ্বিমত পোষন করতেও দেখা যায়। তাদের মতে ভিসি এবং প্রক্টর পদত্যাগ করলে বিশ্ববিদ্যালয়ে সেশন জটের সৃষ্টি হবে।এর পেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক অবস্থার চিন্তা করে,শিক্ষার্থীরা ২২ টি দাবি তুলে ধরেন। আলোচনা সভায় প্রথমে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা সবাই মিলে শহীদদের স্মরণে এক মিনিটে নীরবতা পালন করেন।
ববি উপাচার্য বদরুজ্জামান ভূঁইয়া তার বক্তব্যের শুরুতে শিক্ষার্থীদের নিকট ক্ষমাপ্রার্থনা করেন এবং শিক্ষার্থীদের দেওয়া ২২ দফা দাবির সবগুলো দাবি মেনে নিতে সম্মতি প্রকাশ করেন। তিনি আরো বলেন তোমাদের একটা সেশনজট মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় উপহার দিতে চাই।বাংলাদেশের মধ্যে তিনিই সবার প্রথম বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়কে খুলে দিয়েছেন। শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে তিনি বলেন বাংলাদেশের মধ্যে সবার আগে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং সেজন্য সে দ্রুতই পদক্ষেপ নেবেন। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সকল ধরনের ছাত্র, শিক্ষক ও কর্মকর্তা রাজনীতি বন্ধ থাকবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে যেতে তিনি তার সর্বস্ব দিয়ে চেষ্টা করবেন। দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয় সমাবর্তন করারও আশ্বাস দেন শিক্ষার্থীদের।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর আব্দুল কাইয়ুম তার বক্তব্যে বলেন আন্দোলনের সময় যদি তার দায়িত্ব পালনে কোন গাফিলতি হয়ে থাকে সেজন্য এবং সশরীরে শিক্ষার্থীদের পাশে না থাকতে পেরে শিক্ষার্থীদের কাছে তিনি দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমাপ্রার্থনা করেন। তিনি বলেন,বিশ্ববিদ্যালয় প্রাক্টোরিয়াল বডির কাছে যত ধরনের অভিযোগ রয়েছে তার দ্রুতই বিচারের আওতায় আনা হবে, সঠিক তদন্তের মাধ্যমে বিচার করা হবে।
সাইফুল ইসলাম/এস আই আর