শুক্রবার, ডিসেম্বর ৬, ২০২৪
spot_img

ববিতে নেই যথেষ্ট আবাসিক সুবিধা, হলের খাবার নিয়েও অসন্তোষ শিক্ষার্থীরা

ববি প্রতিনিধি: ২০১১ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫টি বিভাগের বর্তমান মোট অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৯ হাজার হলেও হলের মোট আসন সংখ্যা ১২০২ টি। শিক্ষার্থীদের থাকার জন্যে নেই যথেষ্ট আবাসিক সুবিধা, মোট শিক্ষার্থীর প্রায় ৭৯ শতাংশ বঞ্চিত হচ্ছে আবাসিক সুযোগ থেকে। খাবারের মান নিয়েও অসন্তুষ্ট প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। 

ববিতে ছেলে ও মেয়েদের দুটি করে মোট চারটি আবাসিক হল রয়েছে। এর মধ্যে বঙ্গবন্ধু হলে হলে ২৮৮টি, শেরে বাংলা হলে ৩০০টি, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হলে ৩১৪টি, শেখ হাসিনা হলে ৩০০টি আসন রয়েছে। হলে মাস্টার্স জোনের আসনগুলো বাদে বাকি আসনগুলোর প্রতিসিটে দুজন করে শিক্ষার্থীর থাকতে হয়। সেই হিসেবে চারটি হলে মোট ১৮৬৭ জন শিক্ষার্থী আবাসিক সুবিধা পায় যা মোট শিক্ষার্থীর প্রায় ২১ শতাংশ।বাকি ৭৯ শতাংশ শিক্ষার্থীকে বাধ্য হয়ে মেস ভাড়া করে থাকতে হচ্ছে। 

শেরে বাংলা হলে থাকা শিক্ষার্থীরা ডাইনিংয়ের খাবার নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে হলের খাবারের ব্যবস্থা ছিলো না। কিছুদিন আগেই খাবারের ব্যবস্থা চালু করা হলেও খাবারের মান ভালো না। অনেক সময় নষ্ট খাবার পরিবেশন করা হয়। খাবারের দামও কিছুটা বেশি। 

আইন বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মুসাব্বির বলেন, হলে শিক্ষার্থীদের থাকার জন্যে যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে। হলে প্রতি আসন একজনের হলেও খাটের পাশে এক্সটা কাঠের টেবিল দিয়ে দুজন থাকতে হয়। তাছাড়া ছেলেদের দুই হলের মাঝের যায়গাটা আগাছায় ভরে গিয়েছে যেখানে রাতের বেলায় সাপের ভয় থাকে। এগুলো দ্রুতই পরিষ্কার করা উচিৎ। 

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আসিক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর তুলনায় আবাসিক সুবিধা খুবই কম। শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে আমাদের আরো কয়েকদিন হলের দরকার, বিশেষ করে ছেলেদের জন্যে। হলে সিট বরাদ্দের ক্ষেত্রেও সঠিকভাবে বন্টন করা উচিৎ। দরিদ্র শিক্ষার্থীদের হলের বিষয়ে অধিক সুবিধা দেওয়া উচিৎ। তাছাড়া হলের খাবারের দিকেও নজর দিতে হবে প্রশাসনকে। হলের খাবারের মান খুবই খারাপ,বিশেষ করে ছেলেদের শেরে বাংলা হলের।

এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মনিরুল ইসলাম জানান, আমাদের শিক্ষার্থীদের তুলনায় হল সংখ্যা কম হওয়ায় আবাসিক সমস্যা আছে। সরকার যদি নতুন হল অনুমোদন দেয় সেক্ষেত্রে আবাসিক সমস্যা কিছুটা কাটিয়ে উঠতে পারব।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিন বলেন, আমরা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সাথে কথা বলেছি। অতিদ্রুত আবাসিক হল ও ভবন নির্মাণ করার প্রচেষ্টা আমাদের আছে । আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে নানান সংকট রয়েছে। বিভিন্ন সংকট নিরসনে আমরা যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করছি।

সাইফুল/এমএ

- Advertisement -spot_img

রাজনীতি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

আবেদন করতে ব্যানারে ক্লিক করুন...spot_img

সর্বশেষ সব খবর