শনিবার, জানুয়ারি ১৮, ২০২৫
spot_img

জাবিতে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থী কর্তৃক শিক্ষককে মারতে আসার অভিযোগ

জাবি প্রতিনিধি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) আন্ত:বিভাগ ফুটবল খেলায় অর্থনীতি বিভাগ ও পাবলিক হেলথ বিভাগের মধ্যে ম্যাচ চলাকালীন দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে  পাবলিক হেলথ বিভাগের খেলোয়াড় অর্থনীতি বিভাগের এক শিক্ষককে মারতে তেড়ে আসে এবং খারাপ ভাষায় গালিগালাজ করেন।

শনিবার ( ১লা ডিসেম্বর) বিকাল পাচঁটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে অর্থনীতি বিভাগ ও পাবলিক হেলথ বিভাগের মধ্যে খেলা চলাকালীন এ ঘটনা ঘটে।

মারতে তেড়ে আসা শিক্ষার্থী মোহাম্মদ ইমন। সে পাবলিক হেলথ বিভাগের (৪৮ তম) ব্যাচের এবং শেখ রাসেল হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। ইমন পাবলিক হেলথ বিভাগের ছাত্র সংসদের ভিপি।

পাবলিক হেলথ বিভাগের এর শিক্ষার্থী ইমন বলেন, “স্যার আমাদের খেলোয়াড়ের গায়ে হাত তুলেছিল, এজন্য আমি স্যারের সাথে কথা বলার জন্য পিছনে পিছনে গেছিলাম, আর আমি একজন শিক্ষককে কেন মারতে যাব। আচ্ছা, আমি মারতে গেছি কিন্তু আমি তো তাকে মারিনি, যদি মারার ইচ্ছা থাকতো তাহলে মেরেই দিতে পারতাম। আমি তো তাকে হাতের কাছেই পেয়েছিলাম কিন্তু আমি তো তাকে মারি নাই।”

খেলোয়াড়ের গায়ে হাত তোলার বিষয়ে অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক রনি হোসাইনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমি অর্থনীতি বিভাগের ক্রিয়া শিক্ষক হিসেবে মাঠে উপস্থিত ছিলাম। খেলার মাঠে শিক্ষার্থীদেরকে নিরাপদে রাখা আমার দায়িত্ব। দুইজন খেলোয়াড় মাটিতে পড়ে যায় এবং হাতাহাতি শুরু হয়। আমি তাদেরকে ছাড়িয়ে দেয়ার জন্য চেয়ার থেকে উঠে তাদের মাঝখানে চলে যাই। এরমধ্যেই দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। এক পর্যায়ে পাবলিক হেলথের এক শিক্ষার্থী আমাকে মারার জন্য তেড়ে আসে এবং আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক রাশিদুল ইসলাম বলেন, “আমি খেলার মাঠে উপস্থিত ছিলাম। শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের সাথে যে খারাপ ব্যবহার করেছে তা সঠিকভাবে তদন্ত করে আমরা  বিচারের ব্যবস্থা করব।”

অর্থনীতি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, “খেলার সময় আমি খেলার মাঠে উপস্থিত ছিলাম। পাবলিক হেলথ বিভাগের শিক্ষার্থী আজকে আমাদের একজন শিক্ষকের সাথে যে খারাপ ব্যবহার করেছে, এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এটা আমাদের পুরো শিক্ষক সমাজকে অপমানিত করা। সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।”

মোঃ আরিফ হোসেন/এমএ

- Advertisement -spot_img

রাজনীতি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

আবেদন করতে ব্যানারে ক্লিক করুন...spot_img

সর্বশেষ সব খবর