হাবিপ্রবি প্রতিনিধি: সিনিয়রকে মারধরের ঘটনায় দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ৯ শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে ৷
রবিবার সন্ধ্যায় ভাইস-চ্যান্সেলর অনুমোদনক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর কবির স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
অফিস আদেশে বলা হয়, গত ২৬ অক্টোবর ২০২৪ রাত ৭ ঘটিকায় সংঘটিত ঘটনা ও পরবর্তীতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান হলের ১০৭ নং রুমে সংঘটিত ঘটনার জন্য গঠিত তদন্ত কমিটির (স্মারক নং-হাবিপ্রবি/সংস্থা:/৮৮৩; তারিখ: ১০/১১/২০২৪ সুপারিশের প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ডিন্যান্স অফ স্টুডেন্টস ডিসপ্লিন এর ১৪ এবং ১৫ (রুলস অফ ডিসপ্লিন ফর রেসিডেন্ট স্টুডেন্ট) ধারা অনুযায়ী অপরাধের সংশ্লিষ্টতা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় অপরাধের মাত্রা বিবেচনা করে অর্ডিন্যান্স অফ স্টুডেন্টস ডিসপ্লিনের ১৩ (xvi),১৪ এবং ১৫ (রুলস অফ ডিসপ্লিন ফর রেসিডেন্ট স্টুডেন্ট) ধারা অনুযায়ী ৯ শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল থেকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হলো।
হল থেকে বহিষ্কার হওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন- সমাজবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের সাজ্জাদ আহমেদ, পরিসংখ্যান বিভাগের অনার্স ৪র্থ বর্ষের সৌরভ কুমার কুন্ডু, কৃষি অনুষদের একই বর্ষের সাকিবুর রহমান (সুইন), সাদী মো. মোসাব্বাহ (সাদী চিশতি), ম্যানপজমেন্ট বিভাগের ৩য় বর্ষের মো. মাস-উদ আব্দুল্লাহ (রিদম), ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২য় বর্ষের মো. ফাহমিদ-তানজিম ফাহিম, একই বিভাগের ৪র্থ বর্ষের নুহাস আলী অর্ণব, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ২য় বর্ষের আবু হামজা এবং মার্কেটিং বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী মো. তামজিদ হক।
সেই সাথে সাজ্জাদ আহমেদ, সৌরভ কুমার কুন্ডু ও সাকিবুর রহমান (সুইন) কে একাডেমিক কার্যক্রম হতে এক সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বিগত ২৬ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি এন্ড অ্যানিমেল সায়েন্স অনুষদের ১৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী শামীম রেজাকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া যায় সামজবিজ্ঞান বিভাগের ১৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী সাজ্জাসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে ৷ এরই প্রেক্ষিতে বিগত ১০ই নভেম্বর উক্ত ঘটনায় দায়ীদের চিহ্নিতকরণ ও শাস্তি প্রদানের সুপারিশের জন্য শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান হলের হল সুপার অধ্যাপক ড. আবু খায়ের মোহা. মোক্তাদিরুল বারী চৌধুরীকে সভাপতি ও সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. আবুল কালামকে সদস্য সচিব করে ৫ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছিল।
কামরুল হাসান/এমএ