মঙ্গলবার, মে ২১, ২০২৪
spot_img

চাঁপাইনবাবগঞ্জ নর্দমায় পড়ে থাকা ৩৭টি কোরআন ও ১৩টি আমপারা উদ্ধার, এলাকায় চাঞ্চল্য

জেলা প্রতিনিধি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ: চাঁপাইনবাবগঞ্জের বারোঘরিয়ায় জনমানবহীন একটি ফসলী মাঠের পাশে থাকা নর্দমায় পড়ে ছিল ৩৭টি কোরআন ও ১১টি আমপারা। রবিবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে স্থানীয় কয়েকজন যুবক নর্দমায় পড়ে থাকা কয়েকটি কাপড়ের ব্যাগের মধ্যে এসব কোরআন উদ্ধার করে। কোরআনগুলো উদ্ধার করে একটি বাড়িতে রাখা হয়। তা দেখতে ভিড় করছেন আশেপাশের বাসিন্দারা।

এনিয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়। স্বচক্ষে এসব পবিত্র গ্রন্থ দেখতে ভিড় করছেন আশেপাশের গ্রাম থেকে আসা বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ। রবিবার দুপুর থেকেই চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার বারোঘরিয়া লক্ষীপুর চেয়ারম্যানপাড়া গ্রামের জাফর হোসেন খানের ছেলে জহুর খানের বাড়িতে এই দৃশ্য দেখা যায়।

স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় একটি নর্দমায় কয়েকটি কাপড়, প্লাস্টিক ও টিস্যু ব্যাগ ভেঁসে থাকতে দেখে দুই যুবক। পরে একটি ব্যাগ তুলে দেখে এরমধ্যে পবিত্র কোরআন রয়েছে। পরবর্তীতে ১৪-১৫টি ব্যাগ উপরে তুলে তা থেকে মোট ৩৭টি কোরআন ও ১৩টি আমপারা উদ্ধার করা হয়। এরপর সেগুলো টিউবওয়েলের পানিতে ধুয়ে শুকানোর জন্য রাখা হয় জহুর খানের বাড়ির উঠানে। এসব গ্রন্থের মোড়ক ও অক্ষর স্পষ্ট, এমনকি কয়েকটি আমপারা নতুন।

স্থানীয়দের ধারনা, রাতের অন্ধকারে কে বা কারা জনমানবহীন রাস্তার পাশে থাকা নর্দমায় এসব পবিত্র ধর্মগ্রন্থ ফেলে গেছে। তবে এনিয়ে বিরুপ মন্তব্য তাদের। উদ্বারের পর রবিবার বিকেলে এক ব্যক্তির চাহিদার পেক্ষিতে একটি কোরআন ও দুটি আমপারা দেয়ার পর সেখানে ৩৬টি কোরআন ও ১১টি আমপারা রয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল মতিন জানান, কাজটি যে বা যারাই করুক, ঠিক করেনি। পবিত্র ধর্মগ্রন্থ এভাবে নর্দমায় ফেলা উচিত হয়নি। আমরা এর জন্য খুবই ব্যতিত। আমরা কষ্ট পেয়েছি।

উদ্বারকারী সিহাব বলেন, দুই বন্ধু মিলে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ নর্দমায় কয়েকটা ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখি। একটও ব্যাগ তোলার পর কোরআন দেখি। পরবর্তীতে বাকিগুলো তুলে এরমধ্যে থাকা কোরআন ও আমপারাগুলো বাসায় ধুয়ে রেখেছি।

ইসলামের দৃষ্টিতে কাজটি মারাত্মক ও শাস্তিযোগ্য উল্লেখ করে স্থানীয় আলেমরা বলছেন, কোরআন নষ্ট হলে তা মাটির নিচে পুঁতে ফেলার নিয়ম রয়েছে। তবে ভালো ও পড়ার উপযোগী এসব ধর্মগ্রন্থ নর্দমায় ফেলা গর্হিত কাজ। লক্ষীপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা মো. এখলাসুর রহমান বলেন, নষ্ট কোরআন মাটির নিচে পুঁতে রাখার বিধান রয়েছে। তবে এভাবে নর্দমায় ফেলা মারাত্মক পাপের কাজ।

বারোঘরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান হারুন-অর-রশীদ জানান, নর্দমায় কোরআন ও আমপারা পড়ে থাকার পর তা উদ্বারের ঘটনা ঘটেছে। তবে কে বা কারা এটি করেছে তা জানা যায়নি।

হানিফ মেহমুদ/এস আই আর

- Advertisement -spot_img

রাজনীতি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

আবেদন করতে ব্যানারে ক্লিক করুন...spot_img

সর্বশেষ সব খবর