মোঃ সোহাগ আরেফিন, গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি: জমিতে সেচ বন্ধ করে দিয়ে নষ্ট করা হয়েছে বোরো ধান। অপরিপক্ক ভুট্টা কেটে ফেলা হচ্ছে। এখনও কিছু জমিতে থরে থরে শোভা পাচ্ছে ভুট্টার কাদি, পাশে অপরিপক্ক রসুনের আবাদও রয়েছে। সব মিলিয়ে অন্তত ২০ বিঘা জমির চলতি ফসল নষ্ট করে চলছে পুকুর খননের প্রস্ততি। ঘটনাটি ঘটেছে নাটোরের গুরুদাসপুরে।
ফসল নষ্ট করে পুকুর খননের প্রস্তুতির প্রতিবাদ জানিয়ে শুক্রবার ২২ মার্চ বেলা সাড়ে ১১ টায় মানববন্ধন করেছে উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের কুমারখালী উত্তর পাড়া গ্রামের এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী জানায়- কুমারখালী গ্রামের প্রভাবশালী আব্দুল হাকিম ও আব্দুল মমিন নামে দুই ভাই তাদের পৌত্রিক তিন ফসলী ২০ বিঘা জমিতে পুকুর খনন করবে। কিন্তু তাদের ওই জমি এলাকার অনেক কৃষক লিজ নিয়ে ফসল চাষ করেছে। কিন্তু কৃষকদের উঠতি ফসল নষ্ট করে এমন অমানবিক পুকুর খননের প্রস্তুতি শুরু করেছে তারা দুই ভাই। তারা ওই গ্রামের মৃত সদর উদ্দিন মন্ডলের ছেলে।
মানববন্ধনে অংশ নেয়া এলাকাবাসী জানায়- কুমারখালী উত্তরপাড়া মাঠে অন্তত ২ হাজার বিঘা ফসলি জমি আছে। ওই জমিতে বছরে ধান,পাট, ভুট্টা, রসুন, সব ধরনের রবি শষ্যসহ তিনটি ফসল ফলে। প্রভাবশালী দুইভাই পুকুর খনন করলে মাঠে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে। পানি জমে ফসল উৎপাদন ব্যাহত হবে। নিচু জমিতে যাদের বাসা বাড়ি সেখানে পানি উঠবে। দীর্ঘ মেয়াদী ক্ষতির শঙ্কার প্রতিবাদে ফসলী জমিতে দাঁড়িয়ে ঘন্টাব্যাপী মাবন বন্ধনে অংশ নেন কৃষকরা।
মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভও করেছেন শঙ্কিত কৃষকরা। এলাকাবাসীর পক্ষে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন জমসেদ আলী, মুঞ্জুর আলম, সোলায়মান আলী, শাজাহান আলী, আব্দুল কাদের প্রমুখ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা আক্তার বলেন- পুকুর খননের প্রস্তুতির প্রতিবাদে কৃষকদের মানববন্ধনের বিষয়টি জানতে পেরেছি। নষ্ট করা বোরো ধানের জমিতে সেচের ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং দুই ভাইকে ফসলী জমিতে পুকুর খননের আইনানুগ শাস্তির বিষয়টি অবগত করা হয়েছে।
এসএ