নীলফামারীর প্রতিনিধি: নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে রশিদুল ইসলাম নামে এক জাতীয় পার্টির নেতার বিরুদ্ধে বিক্রিত জমি দখলসহ প্রায় অর্ধকোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে জেলার আশা কমিউনিটি সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী এসব অভিযোগ করেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী রিপন মিয়া বাদী হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।
রশিদুল ইসলাম জেলা জাতীয় পার্টির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও উপজেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এসময় ভুক্তভোগী রিপন মিয়া বলেন, রশিদুল ইসলামের সঙ্গে আমার দীর্ঘ দিনের সুসম্পর্ক ছিল। সেসময় তিনি সমস্যার কথা জানিয়ে ধার বাবদ আমার কাছে চব্বিশ লক্ষ টাকা নেন। দীর্ঘদিন পরে তিনি একটি চেক দিয়ে আমাকে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নেয়ার কথা বলেন। কিন্তু আমি চেক নিয়ে ব্যাংকে গেলে সেই একাউন্টে টাকা না থাকায় আমি টাকা তুলতে পারিনি। পরে টাকার জন্য আমি মামলা দায়ের করি। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তার ছেলে রাশেদুজ্জামান মিলটন আমার কাছে বিশ লক্ষ টাকায় মাগুড়া বাসস্ট্যান্ডে সাত শতক জমি বিক্রি করেন। পরে আমি সেই জমিতে চাষাবাদের জন্য গেলে রশিদুল ইসলাম জাতীয় পার্টির রাজনীতির সাথে যুক্ত থাকার প্রভাবে আমাকে মারধর করেন।
তিনি আরও বলেন, আমাকে মারধর করার পরে আমি আদালতে গিয়ে ক্রয়কৃত জমি বুঝে না দেয়ার মামলা দায়ের করি। এরপর রশিদুল ইসলাম রাজনীতিক প্রভাব খাটিয়ে আমার সম্মান নষ্ট ও হয়রানি করতে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা দায়ের করেন। আমি তার হয়রানি ও মিথ্যা মামলার কারণে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
এ বিষয়ে জেলা জাতীয় পার্টির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও উপজেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক রশিদুল ইসলাম বলেন, আমি হার্টের অপারেশন করার সময়ে তার কাছ থেকে দুই লক্ষ টাকা নিয়েছিলাম। পরে আমি সুস্থ হলে তার টাকা পরিশোধ করে দেই। আমি অসুস্থ থাকাকালীন সময়ে সে আমার ছেলের থেকে ফাঁকা চেক নিয়েছে। সেগুলো দিয়ে সে আমার নামে মামলা দায়ের করেছে। সে আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করছে সেগুলো সম্পূর্ণ বানোয়াট। জমির বিষয়টা হচ্ছে তিনি যে জমির কথা বলছে সেখানে আমার পরিবারের কারো স্বাক্ষর নেই। তিনি তার লোকদের দিয়ে সাজিয়ে আমার জমির দলিল জাল করে এসব করেছে।
সেলিম রেজা/এস আই আর