শুক্রবার, মে ১৭, ২০২৪
spot_img

শিশু ধর্ষণের অভিযোগে ও শালিসি বৈঠকের নামে তামাশা!

তিমির বনিক, মৌলভীবাজার: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের মাধবপুর এলাকায় ৬ বছরের একশিশুর সাথে একাধিকবার যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে শরীফ নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এঘটনা নিয়ে গ্রাম্য শালিশও অনুষ্ঠিত হয়েছে এলাকায়। কিন্তু মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পরলে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। পুলিশ বলছে বিষয়টি তাদের জানা নেই, তবে জেনে ব্যবস্থা নিচ্ছে।

শিশুটির পরিবার থেকে জানাযায়, গত (৩০ মার্চ) শনিবার ছয় বছরের শিশুর সাথে খারাপ কাজ করে শরীফ। এঘটনা তার মেয়ে তায়িবা দেখে ফেলে। মেয়েটি স্থানীয় একটি স্কুলের প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী। এর আগেও সে বিস্কুটের লোভ দেখিয়ে মেয়েটিকে ঘরে নিয়ে খারাপ কাজ করে। দ্বিতীয় দিন তার নিজ মেয়ে দেখার পর নির্যাতিত মেয়েসহ কয়েকজনকে বলে তোমরা আমাদের বাড়িতে যেওনা, আমার বাবা ভালনা। একথাগুলো শোনার পর আস্তে আস্তে সকল কথা বেরিয়ে এলে (১লা এপ্রিল) সোমবার ঘটনার জানাজানি হলে মঙ্গলবার এলাকার ইউপি সদস্য হাতিম মিয়া ও এলাকারগণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ শালিশ বৈঠকে বসেন। তারা ৩০০শত টাকার স্ট্যাম্পে দস্তখত নেন যাতে করে ছেলেটা আর এ এলাকায় না থাকে। কিন্তু মেয়েটার কোনও চিকিৎসার ব্যবস্থা বা পুলিশে খবর দেয়া হয়নি। অভিযুক্ত শরীফের বাড়ি এ জেলায় নহে। সে অন্য জেলা থেকে এসে অত্র এলাকার মন্নান মিয়ার মেয়েকে বিবাহ করে সেখানে বসবাস করে।

নির্যাতীত মেয়েটার চাচা জানান, এর আগেও তার বিরুদ্ধে একাধিক ঘটনার অভিযোগ রয়েছে। বুধবারের দিকে মেয়েটা প্রস্রাব বন্ধ হয়ে গেলে মেম্বার ও পঞ্চায়েতের লোকজন বলেন, ডাক্তারে নিয়ে যেতে। পরিবারের লোকজন বৃহস্পতিবার কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে পুলিশ কেইস না থাকাতে চিকিৎসা করেননি চিকিৎসক। এছাড়াও পরিবারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন প্রাইভেট ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে ঘটনা শোনে তারা চিকিৎসা না দিয়ে পুলিশের মাধ্যমে চিকিৎসা নিতে বলেন।

পরিবারের লোকদের ভয় দেখানো হয় যাতে করে পুলিশে না জানে বা যাওয়া থেকে বিরত রাখে। মেয়েটার অবস্থা খারাপের দিকে গেলে শুক্রবার(৫ই মার্চ) সন্ধ্যার পর জেলায় কর্মরত এক সংবাদকর্মীকে তার পরিবারের লোকজন জানালে তার পরামর্শে মৌলভীবাজার সদর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের গাইনী বিভাগে তার চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। এর আগে উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের ৪,৫ ও ৬ নাম্বার ওয়ার্ডের সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য মালতি বুনার্জি খবর পেয়ে দুপুরে মেয়েটির বাড়িতে গিয়ে মেয়েটির গোপনাঙ্গে আঘাতের আলামত পান।

এবিষয়ে উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য হাতিম মিয়া এ প্রতিবেদককে জানান, তিনি চিকিৎসার কথা বলেছেন। তবে তিনি বলেন, এটা ধর্ষণ নয়, ধর্ষণ চেষ্ঠা। পরে মেয়েটার প্রস্রাব বন্ধ হবার কারন চানতে চাইলে এলাকায় যেতে বলেন।

এবিষয়ে কমলগঞ্জ থানার তদন্ত কর্মকর্তা(ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বিষয়টি তাদেরকে কেউ অবগত করেনি। তিনি আরও বলেন, এব্যাপারে খোঁজ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা করবেন। তিনি বলেন, হাসপাতালে ভর্তি হলে তাদের লোকের মাধ্যমে জানতে পারবেন বলেও জানান।

- Advertisement -spot_img

রাজনীতি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

আবেদন করতে ব্যানারে ক্লিক করুন...spot_img

সর্বশেষ সব খবর