দিন যতই যাচ্ছে, ততই যেন খোলস ছোড়ে বের হচ্ছে ইরান। একটা সময় প্রায় নিয়মিতই দেশটির বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাতো ইসরায়েল। তখন নিন্দা জানানো ছাড়া পাল্টা কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যেত না তেহরানকে।
কিন্তু সময় পাল্টেছে, দেশটির সমরভাণ্ডারে যুক্ত হয়েছে অত্যাধুনিক সব ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র। যার অধিকাংশই নিজস্ব প্রযুক্তির।
তবে ঘনিষ্ঠ মিত্র রাশিয়ার দেওয়া আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা যেন রীতিমতো অপ্রতিদ্বন্দ্বী করে তুলেছে খামেনির দেশকে।
বলা হচ্ছে, এর ওপর ভরসা করেই সরাসরি ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামলা চালায় দেশটির সেনাবাহিনী, যা নাড়িয়ে দেয় ইসরায়েল ও পশ্চিমা বিশ্বকে।
এমন পরিস্থিতিতে বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরান-রাশিয়া এই সুসম্পর্কের জেরে চড়া মূল্য দিতে হতে পারে নেতানিয়াহুর দেশকে।
ইরান ও ইসরায়েলের সংঘাতে নতুন করে উত্তপ্ত গোটা মধ্যপ্রাচ্য। শুরু থেকেই ইসরায়েলকে সমর্থন দিচ্ছে আমেরিকা।
অন্যদিকে ভয়ংকর সব অস্ত্র দিয়ে ইরানকে শক্তিশালী করে তুলেছে বিশ্বের অন্যতম সুপার পাওয়ার রাশিয়া। সব দিক বিবেচনা করেই চিরশত্রু ইসরায়েলের ভূখণ্ডে হামলা চালিয়েছে তেহরান।
এমনকি ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্রগুলোকে ঠেকিয়ে দেওয়ারও সক্ষমতা রয়েছে উপসাগরীয় দেশটির। আর এই কাজে ইরানকে সহযোগিতা করেছে ভ্লাদিমির পুতিনের দেশ।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, চলমান ইউক্রেন যুদ্ধে পুতিনকে হাজারো ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে সহায়তা করেছে ইরান।
এর প্রতিদান হিসেবে তেহরানকে শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ও অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান দিয়েছে রাশিয়া। তবে এগুলোর পরিমাণ সম্পর্কে জানা যায়নি।
রাশিয়ার নিত্য নতুন প্রযুক্তি ইরানকে আরও শক্তিশালী করেছে, যা ইসরায়েলের মাথাব্যথার কারণ।
এরই মধ্যে রাশিয়ার কাছ থেকে এস-৩০০ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা পেয়েছে ইরান। এখন এস-৪০০ নিতেও উৎসাহী দেশটি।
কিন্তু রাশিয়া এগুলো তেহরানকে দিয়েছে কি না, তা স্পষ্ট নয়। তবে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা মনে করেন, সরাসরি এস-৪০০ না দিলেও এর নকশা বা প্রযুক্তি ইরানের কাছে হস্তান্তর করা হতে পারে।
কারণ, চলতি মাসের শুরুর দিকেই ইরানের ১৭ সদস্যের একটি দল রাশিয়ার সমরাস্ত্র ভান্ডার ঘুরে এসেছে।