শুক্রবার, মে ১০, ২০২৪
spot_img

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো, ব্যাপক নির্যাতন ও ধরপাকড় শুরু

গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে নজিরবিহীন ছাত্র আন্দোলন শুরু হয়েছে। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি এসব আন্দোলনে যোগ দিচ্ছেন শিক্ষকরাও। নজিরবিহীন এ আন্দোলন ঠেকাতে ব্যাপক মারমুখি দেশটির পুলিশ। নির্যাতন ও ধরপাকড়ের শিকার হচ্ছেন শিক্ষকরাও। বহিষ্কারের হুমকি দেয়া হচ্ছে ছাত্রদের। এতকিছুর পরও দমানো যাচ্ছে না আন্দোলনকারীদের। ধীরে ধীরে আরও তীব্র হচ্ছে আন্দোলন।

বলা হচ্ছে, সাম্প্রতিক ইতিহাসে এত বড় ছাত্র আন্দোলন দেখেনি যুক্তরাষ্ট্র। ক্যালিফোর্নিয়া থেকে বোস্টন, নিউইয়র্ক থেকে ওয়াশিংটন; হার্ভার্ড থেকে জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি, ওহাইও থেকে নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি একের পর বিশ্ববিদ্যালয় শামিল হচ্ছে গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবিতে। যুক্তরাষ্ট্রের পর ইসরায়েলবিরোধী এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে ইতালি, ফ্রান্স, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়াতেও।

আন্দোলনের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন, ইসরায়েল ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সাথে আর্থিক সম্পর্ক বাতিল করতে হবে। সব ছাত্র ও শিক্ষকের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে। ফিলিস্তিনের জন্য আন্দোলনের কারণে যাদের বহিষ্কার করা হয়েছে তাদের বহিষ্কারাদেশ তুলে নিতে হবে।

আরেক আন্দোলনকারী বলেন, ফিলিস্তিনে যে গণহত্যা চলছে, সেটি ছাত্ররা বসে বসে দেখতে পারে না। ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পর্কের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র এই হত্যাযজ্ঞে শামিল হতে পারে না।

আন্দোলনের তীব্রতা যত বাড়ছে, সমান তালে চলছে দমনপীড়ন। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার, হুমকিধামকি, ধরপাকড়ের পরও অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

এবিষয়ে এক আন্দোলনকারী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এতগুলো বিশ্ববিদ্যালয় গাজার মানুষের প্রতি একাত্মতা জানিয়েছে। আমাদের দাবি, ইসরায়েলের সাথে সব ধরণের অ্যাকাডেমিক সম্পর্ক বাতিল করতে হবে। গাজায় গণহত্যা ইস্যুতেও দৃষ্টি আকর্ষণ চাই।

আরেকজন বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবো। ইসরায়েলের অর্থায়ন বাতিল না হওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ বন্ধ হবে না।

- Advertisement -spot_img

রাজনীতি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

আবেদন করতে ব্যানারে ক্লিক করুন...spot_img

সর্বশেষ সব খবর