শুক্রবার, মে ১৭, ২০২৪
spot_img

প্রাণঘাতী জোড়া বিস্ফোরণের জন্য ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করল ইরান

প্রাণঘাতী

ইরানে প্রাণঘাতী জোড়া বিস্ফোরণের জন্য ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করেছে দেশটি। ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) অভিজাত শাখা কুদস ফোর্সের সাবেক প্রধান কাশেম সোলাইমানির চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে এই জোড়া বিস্ফোরণে প্রায় একশো মানুষের প্রাণহানি ঘটে।

একইসঙ্গে এই বিস্ফোরণকে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ বলেও অভিহিত করেছে পশ্চিম এশিয়ার এই দেশটি। বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের দক্ষিণাঞ্চলে বুধবার দুটি বোমা হামলায় ৯৫ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করেছে তেহরান। গাজায় ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ এবং মঙ্গলবার লেবাননে হামাসের একজন সিনিয়র নেতার হত্যাকাণ্ডে মধ্যপ্রাচ্যের উচ্চ উত্তেজনার মধ্যেই এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে এবং এটিকে রাষ্ট্রীয় মিডিয়া এবং আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষ ‘সন্ত্রাসী হামলা’ হিসাবে চিহ্নিত করেছে।

প্রাণঘাতী এই হামলার দায় এখনও কেউ স্বীকার করেনি। তবে এই হামলা মধ্যপ্রাচ্যের এই অঞ্চলে আরও বিস্তৃত সংঘাতের আশঙ্কার জন্ম দিয়েছে। একইসঙ্গে এই হামলা বিশ্ববাজারেও জোরালো ঝাঁকুনি দিয়েছে যেখানে তেলের দাম তিন শতাংশের বেশি বেড়েছে এবং হামলার বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী নিন্দার সৃষ্টি হয়েছে।

সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির রাজনৈতিক ডেপুটি মোহাম্মদ জামশিদি বলেছেন, ‘ওয়াশিংটন বলেছে- ইরানের কেরমানে সন্ত্রাসী হামলায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের কোনও ভূমিকা ছিল না। সত্যিই? শেয়াল প্রথমে নিজের কোলের গন্ধ পায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘কোনও ভুল করবেন না। এই অপরাধের দায়ভার যুক্তরাষ্ট্র এবং ইহুদিবাদী শাসকদের (ইসরায়েল)। সন্ত্রাসবাদ শুধুমাত্র তাদের একটি হাতিয়ার।’

যুক্তরাষ্ট্র অবশ্য এর আগে এই ধরনের যে কোনও গুঞ্জন প্রত্যাখ্যান করেছে যে, তারা বা তাদের মিত্র ইসরায়েল এই ঘটনায় জড়িত। আর ইসরায়েল এই হামলার বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছে।

মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র কোনোভাবেই এই ঘটনায় জড়িত নয়… আমাদের বিশ্বাস করার কোনও কারণ নেই যে, এই বিস্ফোরণে ইসরায়েল জড়িত রয়েছে।’

বিস্ফোরণের বিষয়ে জানতে চাইলে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন: ‘আমরা হামাসের সাথে লড়াইয়ের দিকে মনোনিবেশ করছি।’

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি হামলার জন্য দেশের ‘অশুভ ও অপরাধী শত্রুদের’ দায়ী করেছেন এবং একইসঙ্গে ‘কঠোর জবাব’ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এছাড়া প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি বৃহস্পতিবার তার তুরস্ক সফর বাতিল করেছেন এবং ‘জঘন্য’ অপরাধের নিন্দা করে ইরানে বৃহস্পতিবার জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করেছেন।

জবা/এসএ

- Advertisement -spot_img

রাজনীতি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

আবেদন করতে ব্যানারে ক্লিক করুন...spot_img

সর্বশেষ সব খবর