বুধবার, মে ১৫, ২০২৪
spot_img

গাজায় প্রতি ঘণ্টায় প্রাণ হারাচ্ছেন দুজন মা : জাতিসংঘ

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল ও হামাসের যুদ্ধে প্রধান ভুক্তভোগীতে পরিণত হয়েছেন নারী ‍ও শিশুরা। ইতিমধ্যে ইসরায়েলি হামলায় ১৬ হাজার নারী ও শিশু প্রাণ হারিয়েছেন। যুদ্ধ শুরুর হওয়ার পর প্রতি ঘণ্টায় গাজায় দুজন মায়ের মৃত্যু হচ্ছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের নারীবিষয়ক সংস্থা ইউনিফেম। খবর আলজাজিরার।

গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে প্রায় ১২০০ ইসরায়েলিকে হত্যার পাশাপাশি প্রায় ২৫০ ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে গাজায় বন্দি করে নিয়ে আসে হামাস। একই দিন হামাসকে নির্মূল এবং বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই সংগঠনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েল। ইসরায়েলি হামলায় এরই মধ্যে গাজায় নিহত মানুষের সংখ্যা ২৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।

শুক্রবার ইউনিফেম বলেছে, গাজায় নিহতদের মধ্যে ৭০ শতাংশ নারী ও মেয়ে। ইসরায়েলি হামলায় বাস্তুচ্যুতদের মধ্যে ১০ লাখ নারী ও মেয়ে রয়েছে। এ ছাড়া ১০ হাজার শিশু তাদের বাবাকে হারিয়েছে।

সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে গাজার নারীরা নিরাপত্তা, স্বাস্থ্যসেবা ও আশ্রয় লাভের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। আর এখন তারা ক্ষুধা ও দুর্ভিক্ষের মুখে রয়েছেন।

এর আগে শুক্রবার জাতিসংঘের বরাতে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়, বিশ্বের যে কোনো সমাজের মতো শিশুরা গাজার ভবিষ্যৎ। তবে এখন তারা অন্যায়ভাবে যুদ্ধের ভুক্তভোগীতে পরিণত হচ্ছে। ফলে তাদের একটা প্রজন্ম পুরোপুরি হারিয়ে যেতে পারে।

ফিলিপ লাজারিনি জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ-এর কমিশনার জেনারেল। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে তিনি ঘন ঘন গাজা সফর করছেন। মাত্র কয়েক দিন আগেই চতুর্থবারের মতো গাজা সফর থেকে ফিরেছেন তিনি।

ফিলিপ লাজারিনি বলেন, গাজায় ৫ লাখের বেশি শিশু প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে। তারা যদি বাড়ি না ফিরতে পারে তাহলে কীভাবে স্কুলে আসবে। অবশ্য তাদের বাড়িঘর ইতিমধ্যে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে। আমি ভয় পাচ্ছি যে, আমরা এখানে শিশুদের একটা প্রজন্ম হারানোর দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।

এসএ

- Advertisement -spot_img

রাজনীতি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

আবেদন করতে ব্যানারে ক্লিক করুন...spot_img

সর্বশেষ সব খবর