রবিবার, এপ্রিল ২৮, ২০২৪
spot_img

ইসরায়েল-গাজা নিয়ে নীতি বদলাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র?

ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ড নিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ভোটাভুটিতে যুক্তরাষ্ট্র ভোট দেয়নি। আর তাতেই ক্ষুব্ধ ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।

মূলত গাজায় এই মুহূর্তে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হোক, নিরাপত্তা পরিষদে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এর আগেও নিরাপত্তা পরিষদে এই প্রস্তাব এসেছে কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র ভেটো দেওয়ায় তা গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি।

সোমবারের ভোটে যুক্তরাষ্ট্র ভেটো দেয়নি। তারা ভোট দেওয়া থেকে বিরত থেকেছে। এই পরিস্থিতিতে প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে নিরাপত্তা পরিষদে। যুক্তরাষ্ট্রের এই অবস্থানে প্রবল ক্ষুব্ধ ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু।

যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান বদলাচ্ছে

গাজায় যেভাবে বেসামরিক মানুষের মৃত্যু হচ্ছে, তা নিয়ে আগেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু জাতিসংঘে গাজার সংঘর্ষ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সব সময়ই ইসরায়েলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। এর আগেও নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে প্রস্তাবনা এসেছে।

কিন্তু আমেরিকা তাতে ভেটো দিয়েছে। বস্তুত, রাশিয়াও একবার প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে। কিন্তু সোমবার যে প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে, আমেরিকা সেই ভোটে অংশ নেয়নি। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, এর অর্থ- আমেরিকা চেয়েছে প্রস্তাব গৃহীত হোক। তাই তারা ভোটে অংশ নেয়নি।

এই ঘটনার পর নেতানিয়াহুর অফিস জানিয়েছে, ‘ইসরায়েলের যে প্রতিনিধি দলের ওয়াশিংটন যাওয়ার কথা ছিল, আপাতত তারা সেখানে যাবে না। প্রধানমন্ত্রী এই নির্দেশ দিয়েছেন।’

এদিকে হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, ‘ইসরায়েলের প্রতিনিধি দলের সফর বাতিল করা অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। রাফাহ ছাড়া আর কোনও পথে গাজায় মানবিক সাহায্য পাঠানো যায়, তা নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল ওই প্রতিনিধি দলের সঙ্গে।’

তার দাবি, আমেরিকা গাজা নিয়ে তাদের অবস্থান বদলে ফেলেছে, এমনটা ভাবার কারণ নেই। তারা ভোটে অংশ নেয়নি কারণ, প্রস্তাবে হামাসের যথেষ্ট বিরোধিতা করা হয়নি। তবে প্রস্তাবে বন্দিদের ছাড়ার কথা বলা হয়েছে। যদিও তার সঙ্গে যুদ্ধবিরতির দাবি মেলানো হয়নি।

আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জার্মানি সকলেই হামাসকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন বলে মনে করে।

এদিকে নেতানিয়াহু বলেছেন, আমেরিকার এই কাজ স্পষ্ট করে দিল, তারা আগের আগের অবস্থান থেকে সরে আসছে। এর ফলে গাজায় যে অভিযান চলছে তা ব্যাহত হবে এবং বন্দিদের মুক্ত করার কাজে আরও সমস্যা হবে বলে মনে করেন তিনি।

নেতানিয়াহুর কথায়, ‘এর ফলে যুদ্ধবিরতির সমান্তরালে বন্দিদের মুক্তির যে চাপ হামাসের ওপর তৈরি করা হয়েছিল, তা আর ধোপে টিকবে না।’

- Advertisement -spot_img

রাজনীতি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

আবেদন করতে ব্যানারে ক্লিক করুন...spot_img

সর্বশেষ সব খবর