জুয়েল আজ্জম: স্বৈরাচার সরকার পতনের একমাস অতিক্রম করেছে। দেশ চালাচ্ছেন অন্তবর্তীকালীন সরকার। অভ্যুত্থান পরবর্তী দেশ কেমন হবে এই নিয়ে সবার মনে আছে নানান চিন্তাভাবনা।
বলা হয়ে থাকে, স্বাধীন অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন। এখন যেন স্বাধীনতা রক্ষা করার কর্মযজ্ঞই চলছে।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঢাকা কলেজ কর্তৃক ‘অভ্যুত্থান পরবর্তী কেমন বাংলাদেশ চাই? ‘ শিরোনামে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয় আজ সকাল ১১ টায় ঢাকা কলেজ অডিটোরিয়ামে।
সেমিনারটিতে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি ও বুদ্ধিজীবী ফরহাদ মজহার, কবি ও সাংবাদিক আব্দুল হাই শিকদার, ইসলামিক স্কলার মুসা আল হাফিজ, হিউমান রাইটস একটিভিস্ট ও ইন্ডিপেন্ডেন্ট জার্নালিস্ট সাইয়েদ আব্দুল্লাহ।
এইছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা ছিল, লেখক ও গীতিকার লতিফুল ইসলাম শিবলী এবং শিল্পী ফারজানা ওয়াহিদ সায়ান। লতিফুল ইসলাম শিবলী ঢাকার বাহিরে থাকার কারণে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেন নি। এইছাড়া ফারজানা ওয়াহিদ সায়ান ব্যক্তিগত একটি ওপয়ার্কশপ থাকার কারণে উপস্থিত হতে পারেননি৷ এই নিয়ে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন৷
অনুষ্ঠানটির উপস্থাপনায় ছিলেন মঈনুল ইসলাম ও নাহিয়ান রেহমান রাহাত।
‘অভ্যুত্থান পরবর্তী কেমন বাংলাদেশ চাই? ‘এই শিরোনামে বক্তৃতার সময় কবি ও বুদ্ধিজীবী ফরহাদ মজহার ওনার নিজের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ নীতিমালা তুলে ধরেন।
নীতিমালা হলো:
১. রাষ্ট্রের কোন অধিকার থাকবে না ব্যক্তির স্বাধীনতা হরণ করা ও ব্যক্তির মর্যাদা ক্ষুন্ন করা।
২. রাষ্ট্রের দায়িত্ব হবে ব্যক্তির স্বার্থ রক্ষার চেয়ে সমষ্টির স্বার্থ রক্ষা।
৩. রাষ্ট্র প্রাণ, প্রকৃতি, পরিবেশ প্রাণবৈচিত্র্য ও সু-শৃষ্ট জ্ঞান, ঐতিহ্য নষ্ট করতে পারবে না।