বেক্সিমকো গ্রুপের কর্ণধার ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি খাতবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান কারাগারে বসেও দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছেন।
সূত্রের বরাতে জানা যায়, কারাগারে বসে ভারতে অবস্থানরত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের সুযোগ পাচ্ছেন সালমান এফ রহমান। অসাধু কারারক্ষীদের ম্যানেজ করে মোবাইল ফোন ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছেন তিনি, যাতে ইন্টারনেট সংযোগ থাকায় বিশ্বজুড়ে যোগাযোগের সুযোগ মিলছে তার। আর এই যোগাযোগের মাধ্যমে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন তিনি।
সূত্রের দাবি, তার মোবাইলে ইন্টারনেট সংযোগ থাকায় বিদেশে কথা বলতে কোনো অসুবিধা হচ্ছে না। তবে কারা কর্তৃপক্ষ বলছে, কারাগারের ভেতর থেকে মোবাইল ফোনে কথা বলার কোনো সুযোগ নেই। তাকে যেখানে বন্দি রাখা হয়েছে, সেখানে জ্যামার বসানো আছে।
কারাগারে যাওয়ার পর তিনি ডিভিশন পান। ডিভিশন পাওয়ায় কারাবিধি অনুযায়ী সাধারণ বন্দিদের চেয়ে কিছু বেশি সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন তিনি। এর মধ্যে কারাগারে পেয়েছেন চেয়ার, টেবিল ও খাট, যেগুলো ডিভিশনহীন বন্দিরা পান না।
এ বিষয়ে আইজি প্রিজনস ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মোহাম্মদ মোতাহের হোসেন সোমবার বলেন, ‘ফোনে কথা বলার সুযোগ পাওয়ার কথা নয়। এর পরও যেহেতু তথ্যটি আপনারা দিয়েছেন সেটি চেক করে দেখব। ’
তিনি আরও বলেন, ‘সালমান এফ রহমান কে যে জোনে রাখা হয়েছে, সেখানে মোবাইল ফোন যাওয়ার সুযোগ নেই। মামলার কারণে আদালতে যাওয়া-আসার সময় তাদের দুবার করে চেক করা হয়। আর তাকে যেখানে বন্দি রাখা হয়েছে, সেখানে জ্যামার বসানো আছে। ’
সাবেক ডিআইজি প্রিজনস ও কারা বিশ্লেষক মেজর (অব.) সামছুল হায়দার ছিদ্দিকী গতকাল বলেন, ‘কারাগারে যারা দায়িত্ব পালন করেন তাদের মাধ্যমে মোবাইল ফোন ব্যবহারের সুযোগ পান বন্দিরা। একজন কারারক্ষী যদি কিছুক্ষণ কথা বলার জন্য ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা পান, সেটি তাঁর কাছে অনেক টাকা। প্রভাবশালী বন্দিদের কাছে এ টাকা কিছু না। ফলে ঝুঁকি নিয়ে অনেক কারারক্ষী এসব অপরাধে জড়ান। ’
তিনি বলেন, ‘কারা কর্তৃপক্ষের উচিত হবে নজরদারি বাড়ানো। এ ছাড়া প্রভাবশালী বন্দিদের কিছুদিন পর পর রুম বদলানো দরকার। তাহলে এ সমস্যা থেকে উত্তরণ ঘটতে পারে। কেউ ধরা পড়লে তাদের বিরুদ্ধে কড়া আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। ’
/এমএ