বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি আরও শক্তিশালী হয়ে শুক্রবার নাগাদ গভীর নিম্নচাপ, ঘূর্ণিঝড় ‘রেমালে’ পরিণত হতে পারে। বুধবার (২২ মে) ভারতের আলিপুর আবহাওয়া দফতরের বরাতে এই তথ্য জানায় পশ্চিমবঙ্গের গণমাধ্যম আনন্দাবাজার।
আগামীকাল বৃহঃপতিবার ২৩ শে মে লঘুচাপটি আগামী ২৪ ঘন্টা উত্তর দিকে অগ্রসর হতে থাকার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। লঘুচাপটি ২৩ শে মে এর মধ্যে নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নিম্নচাপ অবস্থায় উত্তর-পূর্ব দিকে মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যের উপকূলের দিকে অগ্রসর হওয়ার প্রবল আশংকা করা যাচ্ছে। আগামী ২৪ শে মে নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গভীর নিম্নচাপ অবস্থায় মায়ানমার ও বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার উপকূল এবং মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যের উপকূল ঘেঁষে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। গভীর নিম্নচাপটি ২৫ শে মে পূর্নাঙ্গ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার প্রবল আশংকা করা যাচ্ছে। এই ঘূর্ণিঝড়টির নাম হবে রেমাল। এই নামটি মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানের দেওয়া।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তথ্যমতে, বঙ্গোপসাগরের ওপর যে ঘূর্ণাবর্ত ছিল, তা শক্তি বৃদ্ধি করে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। সাগরের ওপর দিয়ে সেই নিম্নচাপ অঞ্চল ক্রমেই এগোচ্ছে উত্তর-পূর্ব দিকে। শুক্রবার তা পরিণত হতে পারে গভীর নিম্নচাপে।
এদিকে দক্ষিণ অন্ধ্রপ্রদেশ ও উত্তর তামিলনাড়ুর উপকূলের কাছে চলছে নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার প্রক্রিয়া। ক্রমে এটি উত্তর-পূর্ব দিকে এগোচ্ছে। শনিবার (২৫ মে) সন্ধ্যায় উত্তর-পূর্ব এবং সংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে পৌঁছে যাবে গভীর নিম্নচাপটি। তার সঙ্গেই দোসর হিসেবে রয়েছে আর একটি ঘূর্ণাবর্ত। বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গের ওপর বিস্তৃত রয়েছে সেটি।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া জেলে ও ট্রলারকে বৃহস্পতিবারের মধ্যে উপকূলে ফিরে আসার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। রোববার (২৬ মে) পর্যন্ত এ নির্দেশনা মেনে চলারও কথা বলা হয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশের আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেছেন, ‘বর্তমান প্রেডিকশন অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড়টির গতিপথ বাংলাদেশ, মিয়ানমার বা ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা অঞ্চলের দিকেই। তবে এর গতিপথ ক্ষণে ক্ষণে পরিবর্তন হচ্ছে। প্রতিনিয়ত গতিপথ পরিবর্তন করছে; রাতে একটা গতিপথ থাকছে, আবার সকালে আরেকটা। তাই লঘুচাপ থেকে নিম্নচাপে পরিণত না হওয়া পর্যন্ত এমনই থাকবে।’