হাবিপ্রবি প্রতিনিধি: দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) বৈষম্যমূলক পেনশন স্কিম ‘প্রত্যয়’ বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন হাবিপ্রবিতে কর্মরত অফিসারবৃন্দ।
বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স ফেডারেশনের আহ্বানে ও হাবিপ্রবিতে কর্মরত অফিসারবৃন্দের আয়োজনে সোমবার (৩ জুন) সকাল ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত বৈষম্যমূলক পেনশন স্কিম ব্যবস্থার প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবীতে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে উপস্থিত হয়ে বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স ফেডারেশনের আইন বিষয়ক সম্পাদক কৃষিবিদ রতন কুমার গুপ্ত বলেন, সরকারি চাকরিতে বেতন তুলনামূলক কম হলেও সবাই সরকারি চাকরিতে আসে একটি আশায় যে যখন বয়স হয়ে যাবে তখন আমার একটি আর্থিক নিরাপত্তা থাকবে। বয়স হয়ে গেলে মানুষের কর্মক্ষমতা কমে যায়। তখন একটি পরিবার চলবে এই পেনশনের টাকাতেই। এর উপর যেকোনো অন্যায় হস্তক্ষেপ আমরা কখনোই মানবো না।
ইঞ্জিনিয়ারিং শাখার সুপারিন্টেন্ডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার তরিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের পেনশনের যে সুবিধা তা হতে আমাদের বঞ্চিত করতে আমলারা পাঁয়তারা করছে। আমরা তাদের এই উদ্দেশ্য সফল করতে দিবো না। এতে মেধাবী শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য স্বায়ত্বশাসিত, স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করতে আসতে চাইবে না । এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঠামো ভেঙ্গে যাবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী সবাইকে একসাথে এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।
এসময় উপস্থিত হয়ে প্রগতিশীল কর্মকর্তা পরিষদের সভাপতি কৃষিবিদ ফেরদৌস আলম বলেন, মানুষের সুবিধা দিনদিন বাড়ে কিন্তু তা কখনো কমে না। বর্তমান পেনশন স্কিমের আওতায় ১৫ বছরের মাঝে কেউ এককালীন টাকা পাবে না। এখন একজন সরকারি কর্মকর্তা অবসরের সময় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবে। এই বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ৷ এই বাংলাদেশে বৈষম্যের ঠাঁই নাই। কেউ পাবে কেউ পাবে না তা এই বঙ্গবন্ধুর বাংলায় হবে না। তিনি অবিলম্বে এই স্কিম বাতিলের দাবি জানান।
উল্লেখ্য, গত ১৩ মার্চ, ২০২৪ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয় কতৃর্ক জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, স্বায়ত্বশাসিত, স্বশাসিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ১জুলাই, ২০২৪ তারিখের পর যারা যোগদান করবেন তাদের জন্য সার্বজনীন পেনশন স্কিমের ‘প্রত্যয় স্কিম’ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এবং তাদের ক্ষেত্রে উক্ত প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার জন্য বিদ্যমান অবসর সুবিধা সংক্রান্ত বিধিবিধান প্রযোজ্য হবে না।
কামরুল হাসান/এমএ