ইবি প্রতিনিধি: কোটা বিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী আবাসিক শিক্ষার্থীকে মারধর ও হল থেকে চলে যাওয়ার হুমকি প্রদানে অভিযুক্তদের শাস্তি এবং কোটা সংস্কারের এক দফা দাবিতে বিভিন্ন শ্লোগানে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (১৫ জুলাই) বিকেল ৪ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা প্রাঙ্গণ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভবনে অবস্থান নেন তারা। এর আগে একই স্থানে ভুক্তভোগী আইন বিভাগের শিক্ষার্থী মাহফুজকে মারধর ও হুমকি প্রদানের অভিযোগ ওঠায় শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
যদিও অভিযুক্ত শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান হাফিজ ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন না এবং বিষয়টা জানেন না বলে অস্বীকৃতি জানান।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে মানববন্ধন করেছি, আমাদের ডিপার্টমেন্টের বড় ভাইকে আন্দোলনে যাওয়াতে হলে গিয়ে মারধর করছে এটার ন্যায় বিচার চাইতে প্রশাসনের কাছে আসছি। ভাইরা, বোনরা এমনকি আমিও নিরাপদ নই এখন। আমাদের অধিকার চাওয়াটা কখনোই অপরাধ হতে পারে না। আর যাই হোক না কেন কেউ কোনো অন্যায় করলে সেটা বিচার করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন আছে, পুলিশ আছে, কোনো ছাত্রলীগ নেতার অধিকার নাই কারও শরিরে হাত তোলার। এখন মেয়েদেরও হুমকি দেওয়া হচ্ছে, এমনকি মানববন্ধনেও নিরাপদ নই। আমাদের ক্যাম্পাসের ভেতর, হলের ভেতর নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উপর বর্তায়।
এদিকে কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী বক্তারা বলেন, পুলিশ দিয়ে হোক, দলীয় কাউকে দিয়ে হোক, আমাদের যৌক্তিক দাবি থামানো যাবে না। আজ বিভিন্ন ক্যাম্পাসে আমার ভাইয়ের রক্তের দাগ, মেনে নেওয়ার মতো না। রাজাকার শব্দটা ছিল আইরনি। যারা আইরনি বুঝে না তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার যোগ্যতা রাখে না। খুব দুঃখজনক, আজ ছাত্র সমাজকে দুইভাগে বিভক্ত করে ফেলছে, এক মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আর রাজাকার। পরিস্থিতি বিবেচনায় কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের মাধ্যমে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
রবিউল আলম/এস আই আর