জাবি প্রতিনিধি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) কোটা সংস্কার আন্দোলনে বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ও শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন৷ প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তে উপাচার্য, শিক্ষক ও সিন্ডিকেট সদস্যদের অবরুদ্ধ করে রেখেছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা৷
এদিকে উপাচার্য অবরোধের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার সংলগ্ন সড়কে অবস্থান নিয়েছে পুলিশ। পুলিশ অবস্থান নেয়ার পর মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে পুলিশ ও শিক্ষার্থীরা।
বুধবার(১৭ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলমের সভাপতিত্বে এক জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷
সিন্ডিকেট সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু হাসান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বলা হয়, গত ১৪, ১৫ ও ১৬ তারিখে সংঘটিত বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল প্রকার শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে যথারীতি বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসসমূহ খোলা থাকবে৷
এছাড়া, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয় বিবেচনা করে আজ বিকাল ৪টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন৷
এবিষয়ে আন্দোলনের সমন্বয়ক আরিফ সোহেল বলেন, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখান করেছি। কোনো অবস্থাতেই আমরা হলত্যাগ করবো না।আমরা শান্তিপূর্ণ অবস্থান করবো। আমরা চাই পুলিশ ক্যাম্পাস ত্যাগ করুক।’
এবিষয়ে সাভার উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাহুল চন্দ্র আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনার সময় বলেন, ’আমরা নিজেরা এখানে আসিনি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুরোধে আমরা এখানে এসেছি। আপনারা প্রশাসনের সাথে কথা বলেন, তারা বললে আমরা ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে যাবো।’