নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি: সম্প্রতি ফেনী-নোয়াখলী-কুমিল্লার বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াতে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা একসাথে কাজ করছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার ক্লাবের উদ্যোগেও লক্ষাধিক টাকার ত্রাণ সহায়তা প্রদান করা হয়। এ উদ্যোগের জন্য অনেকেই তাদের প্রশংসা করেছেন। তবে ত্রাণ বিতরণের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরির সামনে ত্রাণসামগ্রীর ব্যবহৃত প্যাকেট এবং অন্যান্য ময়লা ফেলে রাখা হয়েছে যা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
গত রবিবার (২৫ আগস্ট) নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে কুমিল্লায় সেনাবাহিনীর কাছে কুমিল্লার জন্য বরাদ্দকৃত ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছেন একদল স্বেচ্ছাসেবক। ত্রাণ সহায়তা প্রদানের নেপথ্যে জড়িত আছে বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ শিক্ষার্থী থেকে শুরু শিক্ষক, বিভিন্ন বিভাগীয় ব্যক্তিবর্গ, সকল ক্রিয়াশীল সংগঠন ও বিভিন্ন এসোসিয়েশনের শিক্ষার্থীরা। নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের ব্যানারে বন্যাকবলিত এলাকায় ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তবে ত্রাণ বিতরণের পর উচ্ছিষ্ট ময়লা আবর্জনা পড়ে আছে বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরী ও একাডেমিক ভবনের সামনে। লাইব্রেরির সামনে এখন ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। ত্রাণ বিতরণের পর অব্যবহৃত প্যাকেট, বিস্কুটের খালি বাক্স, স্যালাইনের খালি বক্স, মুড়ির প্যাকেট এবং পলিথিনগুলো পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিবুল হাসান বলেন, “আমরা সবাই মিলে ত্রাণ সহায়তা করেছি, কিন্তু ত্রাণ বিতরণের পর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দায়িত্বটাও আমাদেরই ছিল। লাইব্রেরির সামনে যে ময়লার ভাগাড় তৈরি হয়েছে, তা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ নষ্ট করছে।”
অপরদিকে, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মোখলেসুর রহমান বলেন, “ত্রাণ সহায়তা একটি মহৎ উদ্যোগ। তবে আমরা যদি পরিবেশের দিকেও নজর না দেই, তাহলে আমাদের এই উদ্যোগের আসল উদ্দেশ্য ব্যর্থ হবে। আমাদের উচিত ছিল বিতরণ শেষে পুরো এলাকা পরিষ্কার করা।”
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সচেতন মহলের মতে, ত্রাণ সহায়তা দেওয়ার পর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি নিশ্চিত করা না হলে, এই মহৎ উদ্যোগটি সম্পূর্ণরূপে সফল হবে না। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হচ্ছে, যাতে ত্রাণ বিতরণ শেষে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ব্যবস্থা নেওয়া হয় এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের বিষয়গুলোর প্রতি আরও সচেতন থাকা হয়।
মো. সাইফুল ইসলাম/এস আই আর