ববি প্রতিনিধি: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বিএম কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে কয়েক দফায় সংঘর্ষে শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। আহত শিক্ষার্থীদের বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) ভোর রাত সাড়ে ১২ টা থেকে ৪ টা পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা করে।
বিএম কলেজের শিক্ষার্থীরা সংঘবদ্ধ হয়ে গতরাত ১০টার দিকে নগরীর বটতলা এলাকায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে চাঁদাবাজ নাম দিয়ে মারধর করেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়ার পর রাত ১টার দিকে ববির অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বাসে করে ঘটনাস্থলে যান। সেসময় বিএম কলেজের শিক্ষার্থীরা দেশীয় অস্ত্র হাতে সেই বাসে হামলা জরক বাস ভাঙ্গচুর করেন।
এদিকে বাসের উপর হামলার খবর শুনে ববির শতশত শিক্ষার্থীরা বটতলার উদ্দেশ্য রওনা দেয় এবং বটতলায় বাসের ভাংচুরের চিহ্ন দেখতে পায়। এতে শিক্ষার্থীরা বিক্ষুব্ধ হয় এবং বিএম কলেজ অভিমুখে রওনা দেয়। বিএম কলেজ সম্মুখে পৌছালে বিএম কলেজের ভিতর থেকে ববি শিক্ষার্থীদের উপর ইট পাটকেল ছুড়তে থাকে এবং পরবর্তীতে দেশী অস্রসহ ববি শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালায়। এতে একজন বাইক চালকের পেটে কোপ লেগে মারাত্বক ভাবে আহত হন। এসময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বিএম কলেজের কয়েকটি বাস ভাংচুর করে।
পথযাত্রি বাইক চালক বলেন, সে বিএম কলেজের শিক্ষার্থীদের বারবার বলতেছিলো সে ভার্সিটির কেউ না তারপরেও তাকে পেটানো হয়। একপর্যায়ে তার পেটে ধারালো ছুরি দিয়ে কোপ দিলে তার নাড়ি বের হয়ে যায়।
আহত এক শিক্ষার্থী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীর উপর হামলার খবর জানতে পেরে বিষয়টি সমাধানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বাসে করে আমরা ৩০-৫০ জন শিক্ষার্থী বটতলায় পৌছালে আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। আমরা বাসের মধ্যে অবস্থান করা অবস্থায় এ হামলা চালায়। আমরা তাদের তাদের বোঝানোর চেষ্টা করেছি এখানে কোনো ধরনের ঝামেলা করার জন্য আসিনি কিন্তু তারা আমাদের কথা শুনেনি।
জানা যায়, ঘটনার সূত্রপাত ঘটে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় এক শিক্ষার্থীর পরিবার ও তার প্রতিবেশী বিএম কলেজের শিক্ষার্থীর পারিবারিক জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে।
সাইফুল/এস আই আর