বিশেষ প্রতিনিধি: সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসে আলোচনায় শীর্ষে রয়েছেন বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবিরের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। দীর্ঘ তিন দশকেরও বেশি সময় পর ঘোষণা দিয়ে প্রকাশ্যে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয় ছাত্র সংগঠনটি।
গেল মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) প্রচার সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন সাকি স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশ্যে আসে সংগঠনটি এবং প্রকাশ্যে তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনার ঘোষণা দেয় সংগঠনটি।
দর্শন বিভাগের সূত্রে জানা যায়, আব্দুল্লাহ আল মামুন সাকি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী। স্নাতক ২য় বর্ষে তিনি প্রথম স্থান অধিকার করেন।
দর্শন বিভাগের (৪৭ ব্যাচের) স্নাতকোত্তর পরীক্ষা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক শওকত হোসেন বলেন, আমি আমার অবজারভেশনে যতটুকু ক্লাসে এবং ক্লাসের বাইরে দেখেছি তাকে অন্তত নম্র-ভদ্র বলে মনে হতো। পড়াশোনায়ও বেশ মনোযোগী। তবে তার রাজনৈতিক মতাদর্শ সম্পর্কে আমার জানা ছিলো না।
২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী আনিকা তাবাচ্ছুম বলেন, সাকি আমাদের ব্যাচে খুবই ভালো একটা ছেলে। আমাদের সবসময় তুমি করে কথা বলতো। কখনো তুই করেও বলতো না। ভায়োলেন্ট কোনো ক্যারেক্টর ছিল না। সে স্টুডেন্ট হিসেবেও খুব ভালো। বিভাগের পড়াশোনাতেও অনেক বেশি মনোযোগী ছিল। সেকেন্ড ইয়ারে ৩.৮১ পেয়ে বিভাগে প্রথম হয়েছিলো। স্নাতকোত্তরে সিজি ৩.৫০ ছিলো। সবমিলিয়ে ও খুবই ভালো একটা ছেলে। ও মাদ্রাসায়ও হায়ার স্টাডিও করতেছে খুব সম্ভবত।
২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ রিফাত বলেন, সাকি ভাই খুবই ভালো মানুষ। সবসময় আমাদের পড়াশোনা ব্যাপারে খোঁজ খবর নিতেন, নামাজ পড়ি কিনা জানতে চাইতেন। ইমিডিয়েট সিনিয়র হিসেবে আচার-আচরণে সর্বোচ্চ পরিমাণে ভদ্র একজন মানুষ। ফার্স্ট ইয়ারে র্যাগিংয়ে কখনো উনি ছিলেন না।
দর্শন বিভাগের ডিবেটিং অর্গানাইজেশনের সাধারণ সম্পাদক সামিহা তাসনিম বলেন, ব্যক্তিগতভাবে সাকির কোনো ভায়োলেন্স দেখিনি। আর যদি রেজাল্টের কথা বলি, ও তো ভালো স্টুডেন্ট এবং ওর রেজাল্টও সেরা।
উল্লেখ্য, বর্তমানে তিনি ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসায় হাদিস নিয়ে অধ্যয়নরত। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর পরীক্ষা শেষ হলেও ফলাফল এখনো অপ্রকাশিত রয়েছে।