নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি: জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে হামলার শিকার হয়েছেন দুই সাংবাদিক। দুই সাংবাদিক হলেন দৈনিক আজকের পত্রিকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ফাহাদ বিন সাঈদ ও দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি আহসান হাবিব রিয়াদ।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্নিবীণা হলের একটি কক্ষে সিট দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়ায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ। আর সেখানে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার হয় দুই সাংবাদিক।
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী লুবন মোখলেসের নেতৃত্বে লোকপ্রশাসন ও সরকার পরিচালনা বিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী তুহীন (পূর্বে বহিষ্কৃত), রায়হানসহ অন্তত ১৫ থেকে ২০ জন লাঠি-রড সহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা করে, উপর্যপুরি কিল ঘুষি, লাথি, সংঘবদ্ধ হামলা চালায়। এসময় অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফ বিল্লাহ এবং ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের রিফাতসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরাও আহত হয়। দুই সাংবাদিক এবং আহতদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাথার দান কেন্দ্রীয় মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসার জন্য নেয়া হয়।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর আহত সাংবাদিকদেরকে মেডিক্যাল সেন্টারে দেখতে এসে বলেন, যারা হামলা করেছে, তারা যে- ই হোক না কেন তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয় এব্যাপারে কঠোর এবং জিরো টলারেন্স জারি করে।
প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান পরবর্তী উন্নত চিকিৎসার জন্য আহতদেরকে বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাম্বুলেন্স সহযোগে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাক্রমে আহত সাংবাদিক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক মহল নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাদের জীবনের নিরাপত্তাসহ দ্রুত অপরাধীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছেন তারা।
এই পরিপ্রেক্ষিতে বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্ট মাসুম হাওলাদারকে প্রধান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সঞ্জয় কুমার মুখার্জিকে সদস্য সচিব এবং ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক মো. মেহেদী উল্লাহকে সদস্য করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।