সোমবার, মে ১৩, ২০২৪
spot_img

চা শ্রমিক কন্যা প্রিতী ওরাংয়ের হত্যার বিচারের দাবিতে রাবিতে মানববন্ধন

রাবি প্রতিনিধি: জাতীয় ইংরেজি দৈনিক ‘ডেইলি স্টার’ পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হক ও এবং তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে চা শ্রমিক কন্যা প্রিতী ওরাং হত্যার বিচারের দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এই মানববন্ধন করে ক্যাম্পাসের ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠনগুলো।

মানববন্ধনে ‘প্রীতি হত্যার বিচার চাই’, ‘শিশুশ্রম বন্ধ কর’, ‘দ্যা ডেইলি স্টার – এর নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হক ও তার স্ত্রীর বিচার চাই’, ‘জাস্টিস ফর প্রীতি’ ইত্যাদি সংবলিত প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে মানবন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা

মানববন্ধনে সমাজতান্ত্রিকছাত্র ছাত্রফন্টের আহ্বায়ক  ফুয়াদ রাকিব বলেন,আমরা এমন একটা দেশে বসবাস করি যেখানে গরিব মানুষরা বিচার পায় না। এবং ধনী ব্যক্তিরা অন্যায় করেও বিচারের বাহিরে রয়ে যায়। ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হক দ্বারা কিছু দিন আগে ও এমন একটি হত্যা কান্ড হয়েছিলো কিন্তু সে হত্যা কান্ডের খবর জনসম্মুখে আসে নাই। অর্থের বিনিময়ে সমঝোতার মাধ্যমে সে হত্যা কান্ডকে ধামাচাপ দেওয়া হয়েছিলো। স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও  শিশুশ্রম বন্ধ হয় নাই এবং এদেশের শিশুরা সুন্দর ভবিষ্যৎ পায় না। পরিশেষে বলতে চাই খুনি আশফাকুল হক এবং তার স্ত্রীর যেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়।

নাগরিক ছাত্র ঐক্যের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মেহাদি হাসান মুন্না বলেন,ডেইলি স্টারের মতো পত্রিকা  যারা মানবাধিকার, গণতন্ত্র নিয়ে কথা বলে তারা কেন শিশুশ্রম এর সাথে সম্পৃক্ত থাকে। এর আগে ফেরদৌসী নামক এক শিশুর হত্যাকান্ড  ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে। এরপরে আবার প্রীতি ওরাং এর মৃত্যুর কাহিনী। তার বাবা-মা মৌলভীবাজারে চা শ্রমিক। তাই বলে কি তারা বিচার চাইতে পারেনা। সেখানে তারা টাকা পয়সা দিয়ে সমঝোতার চেষ্টা করেছে। তাদের যে বিচার পাওয়ার অধিকার তা এই রাষ্ট্র ব্যবস্থা রাখেনি।

সমাপনী বক্তব্যে বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি শাকিল হোসেন বলেন, ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হকের বাসায় ইতিপূর্বেও একজন হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। তার কোন সুষ্ঠু তদন্ত বা বিচার হয়নি। এরপরে আবার প্রিতী উরাং এর হত্যাকাণ্ড বলে দেয় দেশের শিশুরা কতটা নিরাপদ। এমন ঘটনা শুধু আমাদের সামাজিক অবস্থা নির্দেশ করে না, এতে আমাদের সামাজিক বৈষম্য চরম পর্যায়ে গিয়েছে তাও প্রকাশ পায়। এইটা প্রমাণ করে বাংলাদেশের যে শিশু শ্রম আইন এটা কার্যকর না।

এ সময় বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী সংগঠনের  সাংগঠনিক সম্পাদক সাহারিয়ার আলিফের সঞ্চালনায় প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। 

মাফুজুর রহমান ইমন/এমএ

- Advertisement -spot_img

রাজনীতি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

আবেদন করতে ব্যানারে ক্লিক করুন...spot_img

সর্বশেষ সব খবর