শনিবার, জুন ২১, ২০২৫
spot_img

মোঘল আমলের  তিন শতাব্দীর লালবাগ শাহী মসজিদ

লালবাগ শাহী মসজিদ ঢাকার প্রাচীন মসজিদ গুলোর মধ্যে অন্যতম । এটি লালবাগ কেল্লার নিকটে শায়েস্তা খান রোডে অবস্থিত। তিন শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে ইসলামী ঐতিহ্য, স্থাপত্য এবং ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে মসজিদটি। যা মুঘল স্থাপনার নির্দশন বহন করে।

মোগল সম্রাট ফররুখসিয়ার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন মসজিদটি। যা তার নামানুসারে মসজিদটির আদি নাম ছিল ‘ ফররুখসিয়ার মসজিদ’। ইতিহাসবিদদের মতে ১৭০৩ থেকে ১৭০৬ সালের মধ্যে এটি নির্মাণ করা হয়।

ইতিহাসে মোঘল স্থাপত্যশৈলী যে কারও মন কাড়ে। ঠিক তেমনি লালবাগ শাহী মসজিদটির কারুকাজও চমৎকার ।  তিন তলা বিশিষ্ট মসজিদটির ছাদের উপর নির্মিত ১২০ ফুট দীর্ঘ আসমানি রঙের মিনারটি দূর থেকে যে কারও চোখে পড়বে।

পোস্তা সড়কের দিক দিয়ে মসজিদের প্রধান প্রবেশ পথ। ভেতরে প্রবেশ করলেই চোখে পড়বে অজুখানা। অজু করার পানির জন্য রয়েছে পূর্ব-পশ্চিমে পানি ভরতি দীঘি। 

মূল মসজিদের ভেতরে রয়েছে মেহরাব। যা অর্ধ গম্বুজাকার। ভেতরে খিলান আকৃতির নকশা। যা কিনা লালবাগ কেল্লার ভেতরের নকশার আদলে করা। 

মসজিদটিতে একসঙ্গে প্রায় ছয় হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন। মসজিদের পাশেই রয়েছে মসজিদ কেন্দ্রিক পুরনো কবরস্থান। এইছাড়া রয়েছে ‘জামিয়া কোরানিয়া আরাবিয়া লালবাগ’ নামে একটি মাদ্রাসা। 

একটা সময় আয়তনের দিক থেকে এই মসজিদটি ছিল ঢাকার প্রথম মসজিদ । যদিও আয়তনের দিক থেকে প্রথম স্থান হাড়ালেও ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য দাঁড়িয়ে আছে এটি। বর্তমানে  কবরস্থান, মাদ্রাসা ও মসজিদ মিলিয়ে মোট জায়গা প্রায় দুই বিঘার মতো। শুধু মসজিদ আছে এক বিঘায়। স্থানীয় ব্যবসায়ী ও মুসল্লীদের দানের মাধ্যমেই মসজিদের যাবতীয় উন্নয়ন ও পরিচালনা কার্যক্রম চলে। 

মসজিদ এখন পর্যন্ত অনেকবার সংস্কার করা হয়েছে। সংস্কারের ফলে বৃদ্ধি পেয়েছে মসজিদের কলেবর। যার ফলে মসজিদে বৃদ্ধি পেয়েছে আধুনিকতার কারুকাজ । ফলে দেখে বুঝার উপায় নেই এটি তিন শত বছরের পুরনো মসজিদ। তবুও ইতিহাসের স্বাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে তিন শতাব্দীর লালবাগ শাহী মসজিদ। 

জুয়েল আজ্জম/ সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ

- Advertisement -spot_img

রাজনীতি

আবেদন করতে ব্যানারে ক্লিক করুন...spot_img

সর্বশেষ সব খবর